ঝিনাইদহে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনে অনিয়ম, ক্ষোভ সচেতন মহলের
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে আয়োজনের কথা থাকলেও যথাযথ কর্মসূচি পালন না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। নির্ধারিত র্যালি আয়োজনের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। আর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় নামমাত্রভাবে, যা অনেকের কাছেই দায়সারা মনে হয়েছে। রোববার সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। পরে কালেক্টরেট স্কুল মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মশিয়ুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে জনসাধারণের অংশগ্রহণ ছিল কম এবং পূর্বঘোষিত র্যালি আয়োজন না করায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু জানান, সামনে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচন আশা করছি। বয়স হয়েছে কিন্তু অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। তাদেরও বিষয়টি জানা দরকার। সেকরণেই ভোটার দিবস কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং নতুন ও তরুণ ভোটারদের সচেতন করার একটি বড় সুযোগ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এবারের আয়োজনটি প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। তারা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করতে ভোটার দিবস যথাযথভাবে পালন করা জরুরি, কিন্তু এবারের আয়োজন দেখে মনে হয়েছে এটি কেবল নিয়ম রক্ষার একটি অংশ ছিল।
অনেকে দাবি করেছেন, আগামীতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত, যাতে ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রকৃতপক্ষে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার বলেন, আমি নতুন এসেছি। আয়োজনের বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আগামীতে যথাযথভাবে পালন করা হবে।
No comments