কালীগঞ্জের পল্লীতে মাদক সেবনে বাধা দেয়াই সেনা সদস্য জখম।
স্টাফ রিপোর্টার -
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের রাড়ীপাড়া গ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এহিয়ার রহমান নামে এক সাবেক সেনা সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে মাদকসেবীরা। রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয়জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন—মৃত তমেজ আলীর ছেলে মো. মাসুম (২৮), বাবর আলী মণ্ডলের ছেলে আমির আলী (৫৬), মিন্টুর ছেলে রিফাত হোসেন (২২), আমির আলীর স্ত্রী মোছা. মঞ্জুরা বেগম (৪৮), মিন্টুর স্ত্রী রিনা বেগম (৩৮) ও তমেজ আলীর স্ত্রী সমত্ত্বভান (৫৫)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রবিবার দুপুরে এহিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এহিয়ার রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং সিরাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরতে থাকেন। এ সময় আসামিরা পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র, রামদা, হাতুড়ি, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে এহিয়ার রহমানের ওপর হামলা চালায়। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পরপরই পুলিশের অভিযান শুরু হয় এবং ইতোমধ্যে দ্বিতীয় আসামি বাবর আলী মণ্ডলের ছেলে আমির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
তবে মুঠোফোনে প্রধান আসামি মো. মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, এটি মূলত পূর্ববর্তী পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটে গেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এহিয়ার রহমান উত্তেজিত হয়ে তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং মুহূর্তের উত্তেজনায় তারা এহিয়ার রহমানকে মারধর করেন।
No comments