কালীগঞ্জে ১২৩ ফুট উঁচু "বঙ্গবন্ধু টাওয়ার" ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ—ক্ষোভে ফুঁসে উঠল জনতা
বনি আমিন, স্টাফ রিপোর্টার -
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারবাজার এলাকায় এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর উত্তাল জনতার রোষানলে পড়ে ১২৩ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধু টাওয়ার। শত শত মানুষের ক্ষোভ আর প্রতিক্রিয়ার ঢেউয়ে মুহূর্তের মধ্যে ভাঙচুরের শিকার হয় বিশাল এই স্থাপনা। এরপরই অগ্নিসংযোগ করা হয়, আর রাতের অন্ধকারে লেলিহান শিখায় পুড়তে থাকে বঙ্গবন্ধুর স্মারক টাওয়ারটি।
এই টাওয়ারটি শুধু উচ্চতার জন্যই নয়, বরং এর বিশেষ স্থাপত্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতীকী উপস্থিতির জন্যও আলাদা গুরুত্ব বহন করছিল। ছয়তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২০টি ভাস্কর্য ছিল, যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে স্থাপিত ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি বৃহৎ ভাষ্কর্য।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার এলাকার শমশের নগরে শুরু হয় জনতার জমায়েত। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে, মুহূর্তের মধ্যে মিছিল এগিয়ে যায় টাওয়ারের দিকে। উপস্থিত জনতা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে একের পর এক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতে শুরু করে। আর শেষ পর্যন্ত, পুরো টাওয়ারকেই আগুনের লেলিহান শিখায় বিলীন করে দেয় তারা।
ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগান শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে এ ঘটনার ভিডিও ও ছবি, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ ছিল, কারা এর নেতৃত্ব দিয়েছে, কিংবা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—এমন অনেক প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কালীগঞ্জের রাত ছিল উত্তেজনার, রাগের, এবং এক অবিস্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী।
No comments