কোটচাঁপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় সাবেক দুই সাংসদ ও পুলিশ সুপার সহ ১৯ জন আসামী

 


ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক সাংসদ নবী নেওয়াজ, সাবেক সাংসদ শফিকুল আজম চঞ্চলসহ ১৯জনকে আসামী করা হয়েছে। 

২০১৪ সালের ১জানুয়ারী উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যা ঘটনায় ১৫ সেপ্টেমম্বর২০২৪ সাল কোটচাঁদপুর আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই বিএম তরিকুজ্জামান।   

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুুল ইসলাম (কোটচাঁদপুর সার্কেল), এস আই সৈয়দ আলী, এস আই মিজানুর রহমান, পুলিশ সদস্য সমীর কুমার। এছাড়া ঝিনাইদহ- ৩ আসনের সাবেক দুই সাংসদ নবী নেওয়াজ ও শফিকুল ইসলাম চঞ্চল,  কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি(৫৫), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন, আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান, কাওসার আলী, মতিন, নজরুল ইসলামসহ মোট ১৯জন।  

বি এম তারিকুজ্জামান অভিযোগ করেছেন যে, তার ভাই এনামুল হককে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারী কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এনামুল হক ওই সময় জামায়াত-সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হন। পরে ২৬ জানুয়ারী কোটচাঁদপুর পৌর শহরের নাওদাগা গ্রামে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ সেই সময় দাবি করেছিল, যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল হক নিহত হন।

আদালত অভিযোগটি গ্রহণ  করে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ কে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মডেল  থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুন জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ এখনো থানায় এসে পৌঁছায়নি। আদেশ হাতে পেলে মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।

এই মামলায় রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কয়েকজনের নাম থাকায় এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে । সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।


No comments

Powered by Blogger.