মহেশপুরে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই
রবিউল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পল্লীতে গড়ে তোলা হয়েছে হাতে তৈরি
ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা। আপন তিন ভাই ৩টি কারখানা থেকে
প্রতিদিন ২ শতাধিক ছোট-বড় ব্যাট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে
পাঠাচ্ছেন। আর এই ব্যাট দিয়ে খেলে অনেকে হয়েছেন বড় মাপের ক্রিকেটার।
গত ২৪ বছর ধরে তারা এই ব্যাট তৈরির কাজ করছেন। কর্মসংস্থান করেছেন
১০-১৫জনের। উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ, সাধন দাস ও
শ্যামল দাস গড়ে তুলেছেন এই ব্যাট কারখানা।
সরেজমিন উপজেলার মান্দাড়বাড়ীয়া ইউপির বাথানগাছি মিস্ত্রি পাড়া
গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়িতে পাশাপাশি তিনটি ছোট
কারখানা। কোথাও পড়ে আছে কাঠ, কোথাও ছোট ছোট কাটিং মেশিন,
১৫জন কর্মচারীর কেউ বা ব্যাটের কাঠ পরিষ্কার করছেন। কেউ বা ব্যাটে
কাভার পরাচ্ছেন।
কথা হয় একটি কারখানার মালিক রাজেন্দ্রনাথের সাথে। তিনি জানান, গত
২৪ বছর ধরে তারা তিন ভাই তিনটি কারখানা পরিচালনা করছেন। প্রতিদিন
এই কারখানা থেকে ১০০ থেকে ১৫০টি বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট ব্যাট
তৈরি করা হচ্ছে। তাদের কর্মচারী আছে ১৫জন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে
বিক্রেতারা তাদের অগ্রিম ব্যাট অর্ডার দেন। প্রকার ভেদে ৫০টাকা থেকে
শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারী দরে তারা ব্যাট তৈরি করেন। একটি
ব্যাটে গড়ে ৪০-৫০ টাকা লাভ থাকে বলে তিনি জানান।
রাজেন্দ্রনাথ আরো জানান, তারা মুলত ঝিনাইদহ আরাপপুর থেকে ব্যাট
তৈরি কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন। এর পর কাঠগুলো বাড়িতে এনে ভাল করে
শুকিয়ে নেন। তার পর এগুলো ছোট কার্টার মেশিন, পরিষ্কার করার মেশিনে
কাজ করে আটা দিয়ে ব্যাটগুলো সেট করা হয়। এরপর এগুলো ভালভাবে শুকানোর পর
তার উপর স্টীকার লাগিয়ে বাজারজাত করা হয়।
তিনি আরো জানান, হাতে এই ব্যাট তৈরি করে তিনি আজ পাকা বাড়ি
তৈরি করেছেন, ৩ বিঘা জমি ও মোটরসাইকেল কিনেছেন।
ক্রিকেট ব্যাট তৈরি কারখানায় কর্মরত কর্মচারীরা জানান, তারা অনেক দিন
ধরে এই ব্যাট তৈরির সাথে জড়িত। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা হাজিরায়
কাজ করেন। এখানে প্রতিদিন ছোট-বড় সাইজের ব্যাট তৈরি করা হয়। যারা
ক্রিকেট খেলেন তারা প্রতিনিয়ত এখান থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা
এই কারখানা থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন।
শ্যামল দাস জানান, তাদের এই কারখানা বড় করতে চান। তাদের কারখানায়
তৈরিকৃত ব্যাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা অর্ডার অনুযায়ী
সরবরাহ করতে পারি না। তবে সরকার কিংবা যদি বেসরকারি পর্যায়ের
No comments