ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সংসদ সদস্য আনার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে ক্রীড়া ফেডারেশনের মানববন্ধন

রবিউল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার “ফিরে এসো হে ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক এমপি আনার। তোমার শুন্যতায় কাঁদছে খেলার মাঠের সঙ্গীরা”। কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কালীগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া ফেডারেশন। বুধবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ভূষণ রোডস্থ আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া সংগঠক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেলসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজিৎ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এমপি আনার হত্যার তদন্তে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডিবি পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধিসহ হত্যায় জড়িত সকলকে শনাক্ত করে দ্রæত শাস্তি কার্যকর করার দাবী জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। উল্লেখ্য, গত ১২ মে দুপুরে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের গেদে বর্ডার দিয়ে ভারত যান। সেখানে পৌছে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার অন্তর্গত মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন। পরের দিন ১৩ মে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ১৫ মে বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটস এ্যাপে ম্যাসেজ করে জানান তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৬ মে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী অব্দুর রউফ ও গাড়ি চালক তরিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনেও একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানান দিল্লি যাওয়ার কথা। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান আনোয়ারুল আজিম আনার। তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানান উদ্বিগ্ন এমপি পরিবার। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে থানায় একটি মিসিং ডাইরি করেন এমপি’র পরিচিত ভারতের বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। ২২ মে বুধবার সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার অভিজাত আবাসন সঞ্জিভা গার্ডেনে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়। এমপি খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে দুই দেশের পুলিশ। আটকদের স্বীকারুক্তিতে জানায় আনারকে কেটে টুকরো টুকরো করে নৃশংসভাবে খুনের বর্ননা পওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন আলামত উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দারা। আনার টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

No comments

Powered by Blogger.