তীব্র গরমে এক শিক্ষকসহ ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ অভিভাবকদের দাবী স্কুল সময় মরনিং করার
স্টাফ রিপোর্টার-
স্কুল চলাকালীন সময়ে তীব্র গরমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক শিক্ষকসহ ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। রোববার উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। অভিভাবকদের ভার্ষ্য, তীব্র গরমের মধ্যে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস করানোতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবী মরনিং স্কুল অর্থাৎ সকাল
উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচন্ড তাপদাহ চললেও স্কুল সেই আগের সময়ই সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চালু রয়েছে। এ উপজেলার অনেক স্কুলেই একাডেমিক ভবন নেই। সেখানে টিনের ছাউনি ভবনগুলিতে গরমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে প্রচন্ড অসুবিধা হয়। এরপরও অনেক স্কুলে ফ্যানের সংকট ছাড়াও কোন কোন স্কুলে আবার পানির সংকটও রয়েছে। এসব কারনে গরমের মধ্যে ক্লাস করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, গতকাল রোববার উপজেলার ভাতঘরা দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনির ২জন, ৭ম শ্রেণীর ৪জন, সলিমুনেচ্ছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৩জন, বেথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, ও মোবারকগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন শিক্ষার্থী ও কালুখালী মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। বিদ্যালয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর তারা সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে চলে যান। ভূক্তভোগীদের অনেকের ভার্ষ্য, গ্রামের স্কুল গুলোতে ফ্যান থাকলেও ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারনে স্কুলের ফ্যান গুলো কোন কাজেই আসছেনা। আবার অনেক বিদ্যালয়ে সুষ্ট ব্যাবস্থাপনার অভাবে পানির সংকটও রয়েছে।
এসব বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এখন স্কুল বন্ধ রাখলে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার মারাত্মক
ক্ষতি হবে। তাই তাদের দাবী মরনিং স্কুল চালু অর্থাৎ সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১/ ১২টা পর্যন্ত স্কুলের সময় করার।
No comments