ঝিনাইদহের কালিগন্জে রমযান মাস উপলক্ষে বাড়তে শুরু করেছে বাজার দর।
তাসনিম মুহাসিন-
ঝিনাইদহের কালিগন্জে রমযান মাস উপলক্ষে বাড়তে শুরু করেছে বাজার দর।
কালীগন্জের কাচা বাজারে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে নিত্যপন্যের দাম । এ যেন দেখার কেউ নেই। আর যার কাছে যেমন তার কাছে তেমন দাম করছে বিক্রেতারা। কম করে কিনলেও বলছে আজ বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। অথচ কেউ কেউ আরো কমে বিক্রি করছে প্রশ্ন তাহলে তা কি করে বিক্রি করছে
একদিকে রোজা মাস আরেক দিকে ব্যবসায়ী রা আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার অবস্হা। ফলের বাজারে এতটাই দাম যে তা নাগালের বাইরে। ইফতারে ফল উঠবে প্লেটে সবার। সম্প্রতি আঙুর-আপেলের পরিবর্তে দেশি ফল বরই-পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। কিন্তু বাজারে সেই দেশি ফলও সাধারণের নাগালের বাইরে। রমজানের ইফতারে যেকোনো একটি ফল রাখার চেষ্টা থাকে সব শ্রেণির মানুষের। কিন্তু বাজারে দেশি ও আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে এবার বেশিরভাগ মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হতে পারে।
যদিও বলা হচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে সরকারি নানা উদ্যোগ। এমন অবস্থায় শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। আহ্বান, কেবল উদ্যোগ নয়, তা বাস্তবায়নে যথাযথ নজরদারির।
সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি করলেও ক্যামেরা সাংবাদিক দেখে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি করি বলছে। আলুর দাম ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা হলেও অনেকে ৩৫ আবার কয়েকজন ৩০ করে বেচছে। একেক জন একেক কথা বলে। খেজুর এবং ছোলার দাম ও রয়েছে ভিন্ন যার কাছ থেকে যেমন নেওয়া যাই তেমন।
ছোলা কেউ ৯০, কেউ ১০০, কেউ ১০৫, কেউ ১১০ এমন বিক্রি করছেন। আবার সোয়াবিন তেল কেউ ৬০, কেউ ৬৪, কেউ ৬৫, আবার কেউ ৭৫ ও বিক্রি করছেন।
অনেকেই বলেন কাল যে দাম ছিল আজ তা দ্বিগুন। এবং প্রতিদিনই তা বাড়ছে। পোল্টি মুরগি এর আগে ছিল ১৬০, কাল ও ছিল ১৯০ কিন্তু আজ ২০০ টাকা এভাবেই তা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। যা নিয়ন্ত্রনের করা দরকার বলে মনে করেন ক্রেতারা।
No comments