ঝিনাইদহে ব্যবহার হয়না কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত স্বাস্থ্য বিভাগের ভবনগুলো
ঝিনাইদহে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভবনগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। লোকবল না থাকায় একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ভবনগুলো সেই সাথে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী। সচেতন মহল বলছেন, নির্মিত ভবনগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জনবল সরবরাহ করা হলে বাড়বে সেবার মান। সেই সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব।
এদিকে পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
ঝিনাইদহ ২৫ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল। দেশের একমাত্র সরকারি শিশু হাসপাতাল এটি। উদ্বোধনের ১৪ বছর পর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পুরোদমে চালু করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ওই অর্থবছরে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ৬টি আবাসিক ভবনের সংস্কার করা হয়। ৬টি ভবনের ২২টি ইউনিট সুন্দর ভাবে মেরামত করে বসবাসের যোগ্য করা হলেও মাত্র ৪টি ইউনিট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি ২২টি ইউনিট বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকায় ভবনগুলো নষ্ট হচ্ছে। বসবাস আর রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ভবনের ভেতরে জন্মেছে গাছ।
একই ভাবে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটিরও একই অবস্থা। তিনতলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সিজার ও শিশুদের চিকিৎসার আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। চিকিৎসক ও স্টাফদের জন্য রয়েছে ডরমিটরি। কিন্তু লোকবল না থাকার কারণে দিন দিন ব্যবহার অনুউপযোগী হয়ে পড়ছে ভবনগুলো।
এছাড়াও ভারত সীমান্তবর্তী মহেশপুরের ভৈরবা ২০ শয্যা হাসপাতাল, কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, কালীগঞ্জের ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধীকার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৭টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না।
মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, এতে ভবনগুলো নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি লোকবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। তাই নির্মিত ভবনগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেওয়ার দাবী তার।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ, জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জনবল নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। পর্যায়ক্রমে জনবল নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস্ত করেছে মন্ত্রনালয় বলে জানান তিনি।
No comments