হরতাল অবরোধের কারনে বিপাকে ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা
তসনিম মুহসিন,স্টাফ রিপোর্টার -
হরতাল অবরোধের কারনে বিপাকে ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা। ফুল নগরীখ্যাত ঝিনাইদহ জেলার ফুল ব্যবসায় মুখথুবড়ে পড়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলার ফুল ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তরা । যেখানে কয়দিন আগে গাঁদা ফুলের প্রতি ঝোপা বেঁচেছেন ১৫০ টাকায়। এখন বিক্রি করছেন ২৫ থেকে ৩০ টাকা। হরতাল আর অবরোধে একদম দাম পাচ্ছেন না ফুলে। ফুল চাষ ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এমনটায় জানালেন চিত্রা নিউজকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের গ্রামের ফুলচাষী মো: টুটুল হোসেন
জানাযায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যশোরের গদখালীর পর বেশি ফুলের চাষ হয় ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না বাজার ও বালিয়াডাঙ্গা বাজারে প্রতিদিন বসে বিভিন্ন রকমের ফুলের হাট। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুলের চাহিদা মেটাচ্ছে এই অঞ্চলের ফুলচাষীরা।
ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও ফুলের দাম ভালো ছিল। কিন্তু হরতাল আর অবরোধে ফুলের বাজারে ধ্বস নেমেছে। গোলাপ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর ২৫৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে গাঁদা ফুল।
আরাক ফুল চাষি জানান, তিনি এ বছর গাঁদা গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেছেন। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে ফুলের ব্যবসায় ধস নেমেছে।
ফুল ব্যবসায়ীরা জানায়, হরতাল-অবরোধের আগে ফুলের ভালো দাম পেয়েছে চাষীরা। কিন্তু এখন একদমই দাম পাচ্ছে না। পরিবহন সমস্যায় ফুল কেনা যাচ্ছে না। ফুল সঠিক সময়ে না পৌছাতে পারলে লোকসান হয়।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, এখন ফুলের মৌসুম । দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ফুল চাষে যশোরের গদখালীর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ঝিনাইদহ। খুলনার ১০ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল চাষ হয় ঝিনাইদহে। হরতাল-অবরোধে ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের বেশ লোকসান পোহাতে হচ্ছে। চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে দিনের পর দিন । ফুল পচনশীল হওয়ায় বিক্রির অন্য কোন উপায় না থাকায় এ অবস্থা ।
No comments