ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে প্রবাসী স্বামীর নির্দেশে সতীনের মেয়ে জামাই দিয়ে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছে রুপালী খাতুন (৩৮) নামের সৌদি প্রবাসী এক নারী। রুপালী খাতুন জেলার শৈলকুপা উপজেলার ধর্মপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী মোল্লার মেয়ে। কুয়েত প্রবাসী স্বামী শহিদুল ইসলাম (৫২) কে প্রধান আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়া তার সতীনের মেয়ে শারমিন আক্তার (২৮) ও তার জামাই ইষ্টিমনগর গ্রামের আজগার আলী ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে উল্লেখ করে তার সতীনের মেয়ে ও জামাই স্থানীয় ঘটকের মাধ্যমে ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে শহিদুল ইসলাম এর সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তার আগে সৌদিতে খাকা অবস্তায় প্রথমে মোবাইলে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় যৌতুকের কোন কথা না থাকলেও বিবাহের পর হইতে যৌতুকের দাবীতে অন্যান্য বিবাদীদের পরামর্শে অভিযুক্তের স্বামী তার উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করলে নিরুপায় হয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও নগদ ৮ লক্ষ টাকা প্রদান করে। তার পরও সৌদি প্রবাসী রুপালী খাতুনের উপর তার কুয়েত প্রবাসী স্বামী সতিনের মেয়ে ও জামাই দিয়ে চালাতে থাকে একের পর এক অমানবিক নির্যাতন। এমন অবস্থায় দাবিও করে মোটা অংকের টাকা। আর টাকা দিতে না চাওয়ায় সতিনের বড় মেয়ে শারমিন, ছোট মেয়ে শাপলা, বড় জামাই আমিরুল ও ছোট জামাই রূদয় আহমেদ অভি একত্রিত হয়ে গত ২৬ অক্টোবর শারীরিক নির্যাতন করে রুপালী খাতুনকে। এমনকি বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করে। এক পর্যায়ে রুপালি টাকা না দেওয়ায় অভিযুক্তরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। চলে যাবার সময় গোয়ালে থাকা একটি গরু জোরপূর্বক খুলে নিয়ে আসে বলে জানাযায় রুপালী।
বাদী রুপালী খাতুন বলেন, আমার স্বামীর নির্দেশে সতীনের মেয়ে জামাই আমাকে বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এমনকি সতীনের মেয়ে জামাই অত্যন্ত খারাপ, প্রতারক, নারীলোভী, পরঅর্থ আত্মসাৎকারী, দাঙ্গাবাজা ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা যে কোন সময় টাকার দাবীতে আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়াসহ আমার আরোও যে কোন বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। তাই আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। যাতে করে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে সঠিক বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা পাই। অভিযুক্ত শারমিন আক্তারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
No comments