সাংবাদিক আজাদ রহমান আবারো প্রথম আলোর বর্ষসেরা সাংবাদিক নির্বাচিত
স্টাফ রিপোর্টার-
আজাদ রহমান আবারো প্রথম আলোর বর্ষসেরা সাংবাদিক নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাকে পুরষ্কৃত করা হয়। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
আজাদ রহমান এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো পত্রিকাটির দেশ সেরা সাংবাদিক নির্বাচিত হলেন। তিনি ২০০৬ সালে প্রথম ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বার সেরা প্রতিনিধি নির্বচিত হয়েছিলেন। এবার ২০২৩ সালেও তিনি সেরা সাংবাদিক হয়েছেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামের মরহুম নূর আলী মন্ডলের বড় ছেলে তিনি। ইফতেখারুল ইসলাম বিপুল নামে তার একটি ছোট ভাই রয়েছেন। তার স্ত্রী মোসাঃ আক্তার জাহান শিল্পী জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার একমাত্র কন্যা ইসরাত জাহান গ্লোরী একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা মোছাঃ রোকেয়া বেগম বার্ধক্যজনিত কারনে বর্তমানে শয্যাশায়ী।
আজাদ রহমান ১৯৮৯ সালের ১৩ মার্চ থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রথম জীবনে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রানার পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে এই পত্রিকার মফস্বল প্রতিনিধিদের মধ্যে শ্রেষ্ট পুরষ্কার পান। ১৯৯৫ সালে তাকে জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে যশোর থেকে দৈনিক লোকসমাজ প্রকাশিত হলে তিনি সেখানে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি লোকসমাজের মফস্বল প্রতিনিধিদের সেরা নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলো পত্রিকা প্রকাশের পর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পদোন্নতি পান।
আজাদ রহমান তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজে অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। তার লেখার কারনে কালীগঞ্জে একটি কাঁদার রাস্তা পাকা হয়েছে। রাস্তাটির নামকরন হয়েছে 'প্রথম আলো সড়ক'। আজাদ রহমানের লেখায় জেলার বিভিন্ন এলাকার কমপক্ষে ৫০ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে আজ দেশের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাচ্ছেন। কমপক্ষে ৪০ জন অসুস্থ রোগি চিকিৎসা নিতে পেরেছেন। যারা এখন তাদের সংসারে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন।
No comments