কালীগঞ্জে ছেলের আঘাত সইতে না পেরে অভিমানে মায়ের আত্মহত্যা
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে ছেলের আঘাত সইতে না পেরে অভিমানে আতœহত্যা করেছেন মা রেবেকা বেগম (৫০)। শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রেবেকা বেগম উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপী গ্রামে মৃত আদিল উদ্দীনের স্ত্রী। রেবেকা বেগম কচাতলায় ইট ভাটায় ভাত রান্নার কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে মা রেবেকা বেগমের পারিবারিক বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মা রেবেকা বেগমকে মারধর করে ছেলে। ছেলের আঘাত সইতে না পেরে অভিমানে হারপিক পান করেন মা রেবেকা বেগম। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
২৫ বছর আগে রেবেকা বেগমের স্বামী আদিল উদ্দীন মৃত্যু বরন করেন। দুঃখ কষ্টে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে ২টি সন্তানকে বড় করেছেন। মেয়েকে পাত্রস্ত করেছেন। এদিকে অভিমানে হারপিক পান করে মায়ের মৃত্যু হলেও ছেলে ফারুক হোসেনকে মৃত মায়ের পাশে দেখা যায়নি।
নিহতের বোন ফেরদৌসি বলেন, মা অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিল যে কারনে হারপিক খেয়েছে। শারিরিক যন্ত্রনা থেকে এমনটি করতে পারে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ছেলের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে হারপিক পানে মৃত্যু বরণ করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলে প্রেরন করা হয়েছে। কেহ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
No comments