কালীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার-
পাওনা ২০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা বলে মোবাইলে করে ডেকে নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে ও খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ বাজারে ঢাকালে পাড়ার মসজিদের সামনে এঘটনা ঘটে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষ ভৌমিক কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা মাস্টার পাড়ার অমূল্য ভৌমিকের ছেলে। এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভূক্তভোগি দেবাশীষ ভৌমিক বাদী হয়ে ফয়লার গোরস্থান পাড়ার বাসিন্দা জব্বার আলী ও তার স্ত্রী সেলি বেগমসহ অজ্ঞাত আরো ১/২ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মামলার ২নং আসামী সেলি বেগম পাওনা ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষকে মোবাইলে শহরের মধুগঞ্জ বাজারের ঢাকালে পাড়ার মসজিদের সামনে আসতে বলে। এরপর সাইজ কাঠ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষকে এবং ১৫০ টাকার খালি স্ট্যা¤েপ জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ী কাছে থাকা ৬ আনা সোনার একজোড়া কানের দুল ও ২ হাজার টাকাও সিনিয়র নেন তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে দেবাশীষ ভৌমিককে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। স্থানীয়রা আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষ ভৌমিককে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বার আলী মারধর ও খালি স্ট্যা¤েপর স্বাক্ষর করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষ আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দেন। সে তার কাছে থাকতে চাই। একারণেই তাকে মেরেছি।
ভূক্তভোগী দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, আমার পাওনা টাকা চাওয়ার কারণেই মূলত জব্বার আলী ও তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তার স্ত্রীর সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটক সাজাচ্ছে। আমি এদের বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান মিনে বলেন, এঘটনায় ভূক্তভোগী দেবাশীষ ভৌমিক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক রহেছেন। অভিযুক্তদের ধরতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কাজ করছে।
No comments