শৈলকুপায় যৌতুক না পেয়ে পিতাকে মোবাইল কলে রেখে মেয়েকে নির্যাতন
নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে যৌতুক না পেয়ে পিতাকে মোবাইল কলে রেখে মেয়েকে বেধঢ়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিতা শামীমা সুলতানা সাথী শৈলকুপা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী হাসানুর জামান রিপন হাকিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে। মেয়েটি বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নির্যাতিতা সাথী জানান, ৩ মাস আগে হাসানুর জামান রিপনের সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ে সময় তার বাবার বাড়ি থেকে সোনার গহনাসহ নগদ টাকা যৌতুক দেয়। বিয়ের কিছুদিন সবকিছু ভালো থাকলে ১ মাস পার হতে না হতেই যৌতুকলোভী রিপন টাকার জন্য সাথীকে চাপ দিতে থাকে। পরিবারের কথা চিন্তা করে সাথী বাড়িতে কিছু বলে নি। ১ সপ্তাহ আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার দেবর ও ননদ তাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সাথীর আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সেবারের মত রক্ষা পায়। এরপর বিভিন্ন সময় টাকার জন্য রিপন ও তার পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকে। সর্বশেষ শনিবার সাথীকে টাকা আনার কথা বললে সাথী অস্বীকার করে। পরে সাথীর পিতা শরিফুল ইসলামকে মোবাইল কলে রেখে বেধড়ক মারপিট করে দেবর, ননদসহ পরিবারের সদস্যরা। পরে শরিফুল ইসলাম মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েটি হত্যার উদ্দেশ্যে তারা মারপিট করেছে। এভাবে নির্যাতন করা কোন মানুষ করতে পারে না। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments