কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত ঝিনাইদহের রাজা-বাদশা
ফয়সাল আহমেদ,ঝিনাইদহ-
আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য ঝিনাইদহে প্রস্তুত করা হয়েছে দুটি গরু। নাম তাদের রাজা-বাদশা। নাম শুনেই সবাই মনে করবেন মুঘলযুগের রাজা বাদশার কথাই। কিন্তু না কোরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন পালন করা বিশাল আকৃতির দুটি ষাড়ের নাম রাখা হয়েছে রাজা-বাদশা। ওজন আকৃতি ও সৌন্দার্যে তারা নজর কাড়ে সকলের। দুর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। দেশে কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত এবার রাজা-বাদশা। তবে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড়দুটির মালিক জিনারুল ইসলাম তরুন।
ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার কৃষক জিনারুল ইসলাম তরুন গত ৩ বছর ধরে গরু দুটি লালন পালন করছেন তিনি। তার নিজের গোয়ালের ব্রাহামা জাতের দুটি ষাড়ের নাম শখ করে রাখা হয়েছে রাজা-বাদশা এখন দেশের সেরা বলেই ধারনা করছেন তিনি।
গরুর মালিক জিনারুল ইসলাম তরুন বলেন, আমার কোন গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৫ টি গরু আছে। ৩ বছর আগে বাজার থেকে দুটি ব্রাহামা জাতের গরু কিনি। তারপর থেকে আমার গৃহিণী শখ করে তাদের নাম রাখে রাজা-বাদশা। রাজা-বাদশাকে এবারের কোরবানির ঈদে ছেড়ে দেব। আর আমাদের গোয়ালে থাকা বাকি ৩ টি গরু আগামী বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার গোয়ালের গরু গুলোর প্রাকৃতিক খাবার যেমন চাল, ভুষি, ছোলা, খেসাড়ি খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যান্ত আদর যতœ করে গরু গুলি লালন পালন করছি। আমার রাজার আনুমানিক ওজন ২৬ থেকে ২৭ মণ এবং বাদশার ২৪ থেকে ২৫ মণের মতো হবে বলে আশা করছি। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা করে। এরই মধ্যে একেকটি গরুর মূল্য উঠেছে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্য মূল্যে তাদেরকে ছেড়ে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার গোয়াল থেকে যদি কেউ গরু দুটি কিনতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমার সাখে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৯৩-০৮৪৮৫৪ মোবাইল নাস্বারে। তেমন কাউকে পেলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমার রাজা-বাদশাকে বাড়ি থেকে বিক্রি করে দিব বলে আশা করছি। আর তা না হলে দেশের কোন গরুর হাটে গিয়ে বিক্রি করবো।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২ লাখ ৪ হাজার ৯’শ ২৮ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৬০ হাজার পশু পাঠানো হবে ঢাকার গাবতলী, মাদারিপুর, টেকেরহাট, বরিশাল, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পশুর হাটে।
No comments