ঝিনাইদহে সুদ খোরের কান্ড! ফাঁকা চেকে ১ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ১১ লক্ষ টাকার মামলা

 ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের সুদ কারবারী আমিরুলের অত্যাচারে সর্বশান্ত হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষকসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী। ১ লক্ষ টাকা আমিরুলের নিকট থেকে গ্রহন করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দিয়েও পরিশোধ হয়নি স্কুল শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদারের সুদের টাকা। সুদ কারবারী আমিরুল ইসলাম সদর পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে সুদ কারবারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তার অত্যাচারে ঝিনাইদহ শহরের অনেকে ব্যবসায়ী পথে বসেছে। আবার অনেকেই বাড়ি ঘর বিক্রি করে ছেড়েছেন এলাকা। সুদ কারবারী আমিরুলের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার জানান, তিনি ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ২০১৭ সালে আমিরুলের নিকট থেকে কিছু দিনের জন্য এক লক্ষ ধার হিসেবে গ্রহন করে। বিনিময়ে একটি ফাঁকা চেক গ্রহন করে আমিরুল। টাকা পরিশোধ হলে চেকটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু পরবর্তীতে আমিরুল বলেন টাকা দিতে দেরি হলে প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকায় ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দেওয়া লাগবে। আমার ব্যবসায়ে ক্ষতি হওয়ায় সময় মতো টাকা দিতে ব্যর্থ হই। পরে সে মামলা করবে বলে হুমকি দিলে আমি মামলার ভয়ে তাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে সুদ দিতে থাকি। এভাবে ৩ বছরে ৪ লক্ষ টাকা তাকে দিয়েও রেহায় হয়নি। অবশেষে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ২০২০ সালে ফাঁকা চেকে ১১ লক্ষ টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করে আমিরুল। পরবর্তীতে মামলা মিমাংসার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে আমার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেছে। কিন্তু মামলা না তুলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সুদ কারবারী আমিরুল প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে আমি ঠিকমত বাড়িতে থাকতে পারছি না।

শুধু আমি নয় আমার মত অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছে তাদের মধ্যে আলিফ বেকারী, হাটের রাস্তার শরিফুল, অনির্বান প্রি-ক্যাডেটের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ,কুষ্টিয়া দধি ভান্ডারসহ অসংখ্য মানুষ তার অত্যাচারে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত আমিরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি ব্যবসায়ীক কাজে টাকা দিয়েছিলাম। সেকারনে টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মোবাইলে এতো কথা না বলে সামনাসামনি এসে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন তিনি। 


No comments

Powered by Blogger.