পিতা মাতাকে ফাসাতে ছেলের একের পর এক ষড়যন্ত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পিতামাতার
চৌগাছার নগরবর্ণি গ্রামে মা বাবাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে আক্তারুজ্জামান। বার্ধক্যে এসে জরাজীর্ণ রান্না ঘরে বসবাস করছেন তারা। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি ছেলে। শায়েস্তা করতে বাবার নামে দুটি চেক চুরি করে ডিসঅনার মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়ে অঝরে কেঁদেছেন বৃদ্ধ আব্দুল বারিক ও স্ত্রী বৃদ্ধা ছায়রা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল বারিক বলেন, বড় সন্তান আক্তারুজ্জামান দীর্ঘ দিন ধরে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। আক্তারুজ্জামান বিদেশ থেকে ফিরে একটা বাড়ি তৈরি করে। সেই বাড়িতে আমরা সবাই এক সাথে থাকতাম। কিন্তু প্রায়ই টাকা আর সম্পত্তির জন্য মারধর করতো। এক পর্যায়ে মারধর করে তাড়িয়ে দিলে পাশেই পুরনো বাড়ির একটি রান্না ঘরে আমরা দু’জন বসবাস করছি। সেখানে গিয়েও টাকার জন্য আমাদের মারধর করছে ছেলে আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমাদেরকে আবার নতুন করে ফাঁদে ফেলেছে আক্তারুজ্জামান। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে বলে দুটি চেক সই করিয়ে নেয়। সেই চেকের একটি ৩০ লাখ ও অপরটিতে ৪০ লাখ টাকার অংক বসিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে ডিজঅনার করায় আক্তারুজ্জামান। পরে সেই চেক দিয়ে সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে। আক্তারুজ্জামান আমার ৪ বিঘা ১০ শতক জমি, ১০ শতক জমির মেহগনি বাগান বিক্রি এবং ৫ বিঘা জমি বন্ধক রেখে সমুদয় টাকা নিয়ে খবচ করেছে। টাকা শেষ হয়ে গেলে আমাদেরকে মারধর করে টাকা জন্য। কোন কাজ না করে এলাকায় মেয়ে ছেলে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ফূর্তি করে বেড়ায়। এসব সহ্য করতে না পেরে চৌগাছা থানায় মোট তিনবার অভিযোগ করেছি। তাতেও কোন কাজ হয়নি। শেষমেশ আদালতে দারস্থ হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে মা ছায়রা খাতুন বলেন, এ কেমন সন্তান পেটে ধরেছিলাম। যে বয়সে সন্তানের আয় রোজগার খাওয়ার কথা; সেই সময়ে আমরা দুজন থানা পুলিশ-আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। মা হয়েও আমি ছেলে হাতে মার খাই, এই দুঃখ কোথায় বলবো। এটা কি পেটের সন্তানের কাজ! সন্তানের নির্যাতনে আজ মা বাবা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।
No comments