শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পে অনিয়ম,দুস্থদের টাকা মেরে খাচ্ছে চেয়ারম্যান আওলাদ

 ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৫ নং ফুলহরি ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলে প্রায় ১৫ দিন পর, ২ মে থেকে ইউনিয়নের চারটি স্থানে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪০০ টাকা হাজিরায় সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করানোর কথা রয়েছে ১৫৬ জন শ্রমিকের কিন্তু কাজ করছে মাত্র শতাধিক শ্রমিক। এবং এই টাকা শ্রমিকের মোবাইলে চলে যাওয়ার কথা। তবে অধিকাংশ শ্রমিকের সিম কার্ড এখন চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা।

ফুলহরি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, ফুলহরি সুব্রত শাহার বাড়ির পাশে, ভগবাননগরসহ ৪টি স্থানে কাজ করছে শ্রমিকরা। সরেজমিনে ৩ টা স্থানে গিয়ে দেখা যায় কোথায় ২২ জন, কোথাও ২৫ আর কোথায় ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক বলেন গত মঙ্গলবার  সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কয় দিন চলবে তা

জানিনা। আমাদের সিম কার্ডটি চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে।

ফুলহরি ও গোবিন্দপুর গ্রামের স্থানীয় অনেকের (নাম না প্রকাশের শর্ত) সাথে কথা বলে জানা যায়, ২ মে সকাল থেকে তাদের এখানে শ্রমিকরা মাটির কাজ করছে। এর আগে কাজ করেনি আজকেই প্রথম কাজ করছে।

শৈলকুপা পি আই ও অফিসের মাধ্যমে জানা যায় ইজিপিপি প্রকল্পে ফুলহরি ইউনিয়নে প্রতিদিন ৪০০ টাকা দরে ১৫৬ জন শ্রমিকের ৪০ দিন কাজ করার কথা যা গত ১৪ই এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু অজানা কারণে ১৫ দিন পর আজকে এই ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা অনেকেই যোগ সাজসে এমন কাজ করছে বলে জানা গেছে।

একাধিক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে সকল তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে চেয়ারম্যান আওলাদ ও তার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে কেও মুখ খুলতে রাজি হয়নি আবার কেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতেও রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে ফুলহরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি কাজের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এই বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, কাজ তো আগেই শুরু হওয়ার কথা। যদি না হয় তবে কাজের বিল পাবে না।


No comments

Powered by Blogger.