প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা

 এম শাহজাহান আলী সাজু-

মঙ্গলবার সকাল ৭ টা। স্কুলের মূল ফটকে সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের জটলা। দেখলে মনে হবে না যে স্কুলটি সরকারী ছুটি। কিছু শিক্ষার্থী রেব হচ্ছে আবার কিছু শিক্ষার্থীরা তড়িঘড়ি করে স্কুলে ঢুকছেন। প্রতিদিন খুব সকাল থেকে সকাল ১০/১১টা পর্যন্ত এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। অতিরিক্ত ক্লাসের নামে প্রাইভেটের রমরমা ব্যবসার ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলে।

সুত্রে জানা গেছে, গত ২২’মার্চ রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারী ছুটি চলমান রয়েছে। কিন্তু কোলা বাজার এই হাইস্কুলটিতে দেখে বোঝার উপায় নেই স্কুলটি সরকারী ছুটি। 

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, কোলা বাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের নতুন তিন তালা ভবনের প্রতি তালায় শ্রেণী কক্ষে ঐ বিদ্যালয়ের তিন জন সহকারী শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। এজন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা গুনতে হয়। প্রতি ব্যাচে রয়েছে ৩০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী। আর এসকল শিক্ষার্থীদের স্কুল ভবনের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক জীবন বিশ^াস, সমরেশ দাস ও মনিরুল ইসলাম। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষার্থী জানায়, আমার দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই স্কুলের স্যারদের কাছে টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ে থাকি। স্যারেরা বলেছেন, কেহ জানতে চাইলে বলবা যে “স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস চলছে।” 

ঐ স্কুলের প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক তরুন বিশ^াস বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির অনুমতিতে স্কুলে পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  

তবে, এবিষয়ে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ খান জানান, স্কুলে শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দূর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের অনুমতি দিলেও স্কুলের ভবন ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, ব্যাপারটি আমি শুনেছি। খোজ নিয়ে দেখি, নিয়মের ব্যাতয় ঘটলে অবশ্যই ঐ সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 





No comments

Powered by Blogger.