দারুন পদক্ষেপ দুর্ঘটনায় নিহতের পরেই সড়ক সংস্কারে সওজ
এম শাহজাহান আলী সাজু-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনের মহাসড়কের রাস্তা ”ডিপ্রেশন“ কারণে দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে ৪ জন যাত্রী নিয়ে যশোরে যাওয়ার সময় সামনে থেকে আসা মাছ বোঝাই পিকআপের মুখো-মুখি সংঘর্ষে দূর্ঘটনায় স্বীকার হন তারা। দূর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হন, আহন হন মেয়েসহ ৩ জন। দূর্ঘটনার ৫ ঘন্টা পর তড়িঘড়ি করে রাস্তা মেরামত করছে সড়ক বিভাগ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে ৪ জন যাত্রী নিয়ে যশোরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে পৌছালে যশোর থেকে কালীগঞ্জ গামী মাছবোঝাই একটি পিকআপ রাস্তা ”ডিপ্রেশন“ কারণে ডান দিকে মোড় নিলে যাত্রীবাহী ওই ভ্যানের মুখো-মুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ভ্যানে ৪জন যাত্রীসহ চালক মারাত্বক আহত হন। পরে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সুত্রে জানায়, ঝিনাইদহ টু যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বারোবাজার মান্দারতলা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। প্রতিদিন ব্যস্ততম এ মহাসড়কে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছে যাত্রী ও মালবাহী ছোটো বড়ো হাজারও যানবাহন। কালীগঞ্জ এলাকার মহাসড়ক প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে করে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। মহাসড়ককে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব কালিগঞ্জ সড়ক বিভাগের থাকলেও তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। মহাসড়কের দু’পাশে বিভিন্ন স্থানে ছোটো বড় অসংখ্য “ডিপ্রেশন” ও “টট হোল” রয়েছে। যে গুলি সড়ক বিভাগের লোকজন মাঝে মধ্যে যতসামান্য ঠিক করলেও তা ব্যবহার উপযোগী হয়না। যে কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কালিগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শ্রী তুষার কান্তি প্রামাণিক জানান, প্রতিনিয়তই আমার এরিয়ার মধ্যে আমরা মহাসড়ক সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। ১৫ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার রাস্তা বেশি খারাপ। টাকার বরাদ্ধ অনুয়ায়ী খারাপ স্থানগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা হচ্ছে। বাকি রাস্তার কাজও দ্রুত শেষ হবে বলে জানান তিনি।
বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান, রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে বেশি। এ কারণে আমরা টহলও বাড়িয়েছি। শুধু থ্রি হুইলার যানই নয় ভাঙ্গাচোরা উঁচু-নিচু গর্তযুক্ত মহাসড়কের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
No comments