আত্মহত্যা না হত্যা, সাদিয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য
এম শাহজাহান আলী সাজু-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের (১০) মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় উপজেলার কোলা ইউনিয়নে খাল-কোলা গ্রামে। নিহত সাদিয়া খাতুন খাল-কোলা গ্রামের সুজনের মেয়ে ও রোকেয়া-জান্নাতুল মাহিলা কওয়ামী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক কলহের কারণে ৯ মাস আগে সাদিয়ার মা-বাবার পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। মেয়ে সাদিয়া ছাড়াও তাদের সাজিম (৪) নামের আরো একটি পুত্র সন্তান আছে। সেই থেকে মেয়ে সদিয়া ও পুত্র সাজিম বাবার বাড়িতে থাকতো। বর্তমানে উভয় পরিবারে মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, বাবা সুজনের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলে মেয়ে সাদিয়া। অনেক খোজা-খুজির পর ফোনটি না পেয়ে মেয়ে সাদিয়াকে মার-ধর করেন বাবা। এক পর্য়ায়ে মেয়েটি বাবা উপর অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলাই ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
নিহত সাদিয়ার বাবার জানান, মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে দুই ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর আমি মেয়ে সাদিয়াকে বকা-ঝকা করে বাজারে চা খেতে যায়। এরই মধ্যে মেয়ে অভিমান করে ঘরের আড়াই সাথে উরনা দিয়ে ঘলাই ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
তবে, আতœহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেছেন সাদিয়ার নানা শরিফুল ইসলাম। তিনি বিদেশ থেকে ফোনে বলেন, আমি এঘটনা সুষ্ট তদন্ত চাই।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ জানান, আতœহত্যার খবর পেয়ে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়াছিলাম। মোবাইল এর বিষয় নিয়ে মেয়ের বাবা সুজন মেয়ে সাদিয়াকে দুইটি থাপ্পড় মারে। এই অভিমানে মেয়েটি আতœহত্যা করেছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো : আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যা নাকি আতœহত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্ত চলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
No comments