ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার আসামী করা হয়েছে ইউপি সদস্য জাফর হোসেনকে। তার অভিযোগ, ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকলেও তাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জমিজমাকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি পক্ষ ১০নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাফর হোসেনকে আসামী করে মামলা করে। তবে ঘটনার দিন তিনি সেখানে ছিলেন না বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে জাফর হোসেন ও জাহিদুল ইসলামের মধ্যে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। কিন্তু সেই জমি জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাই আসাদুল ইসলামসহ বোনেরা দখল নিতে দেই। এ নিয়ে গ্রামে অনেক সালিশ বিচার করা হয়েছে। তাতেও কোন কাজ হয়নি। গত বুধবার জাহিদুল ইসলাম নতুন করে সেই জমিতে রান্নাঘর তৈরি করতে গেলে জাফর হোসেনের স্বজনরা বাঁধা দেয়। এসময় কিছুটা বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয় তাদের মধ্যে। ঘটনার সময় জাফর হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। পরে শুনি তার নামেও মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাফর হোসেন জানান, কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের হাজারি মন্ডলের কাছ থেকে ৬ শতক জমি আমরা ক্রয় করি । সেই জমি দখল করে রেখেছে তার ছেলে আসাদুল ইসলাম । বারবার বলা সত্তে¡ আমাদের জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেনা । এ নিয়ে বেশ কয়েক বার গ্রামে সালিশ বিচার করা হয়েছে। কোন বিচার মানতে চাচ্ছে না। তারা বিক্রি করা জমিতে বসত বাড়ি করে রেখেছে। আমরা সেই বাড়ি সরিয়ে নিতে এর আগে টাকাও দিয়েছি তারপরেও বাড়ি তারা সরায়নি। আবার নতুন করে সেখানে পাকারান্নাঘর তৈরি করছে। জমি না বুঝিয়ে দিয়ে রান্নাঘর তৈরি করার কারনে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আমি গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। তারা নিজেরা বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। জমি বুঝিয়ে দেবে না বলে মামলাও করেছে তারা।
জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে রান্নাঘর তৈরি করতে গেলে জাফররা বাঁধা দেয়। এ সময় তারা তাদের মারধর করে। এ সময় ইউপি সদস্য জাফর মেম্বর উপস্থিত ছিল কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments