কালীগঞ্জে এলজিইডির কোটি টাকার রাস্তা প্রশস্তকরণে অনিয়ম
স্টাফ রিপোর্টার॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাতঘারা দয়ারামপুর সড়কের প্রশস্তকরণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের (এলজিইডি) ৮ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণ এ কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় কোটি টাকা। মাটির তৈরি এ রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ পান যশোরের চৌগাছার মেসার্স মাহফুজ এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামের কাজটি ক্রয় করেন কালীগঞ্জের আসাদুল ইসলাম লিটু নামের এক ঠিকাদার। চুক্তিতে প্রশস্তকরনের মাটি ক্রয় করে দেওয়ার কথা রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু তা না করে রাস্তার পাশের মালিকানা জমি থেকে জোরর্পূবক মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে রাস্তায় দিয়েছে। ঠিকাদার লিটু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন ব্যক্তির আবাদি ও বসতবাড়ির জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে তারা দিতে রাজি হয়নি। পরে প্রভাবশালী ওই ঠিকাদারের চাপের মুখে অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে আনতে বাধ্য হয়েছে। ভুক্তোভোগী মাস্টার প্রভাত কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার আবাদি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনার মাটি কেটে রাস্তা প্রশস্তকরন করতে যায় ঠিকাদার লিটু। আমি তাতে রাজি না হলে আমাকে বলে সরকারি কাজে বাধা দিলে আপনার নামে মামলা হবে। যেহেতু আবাদি ও বসতবাড়ির জমি তাই আমি মামলা ও তার ভয়ে অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে দিতে বাধ্য হই। ৪১ গাড়ি মাটি আমি অন্যত্র থেকে প্রতি গাড়ি ৯’শ টাকা মূল্যে মোট ৩৬ হাজার ৯’শ টাকার মাটি ক্রয় করে এনে ঐ ঠিকাদারকে দিই। ফলে আমি আর্থিকভাবে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি এমন ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার চাই। শুধু সংখ্যালঘু প্রভাত কুমার রায়ই নয় এমন ঘটনার স্বীকার হয়েছে এলাকার অনেক পরিবার। কিন্তু ঠিকাদার লিটুর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযুক্ত ঠিকাদার আসাদুল ইসলাম লিটু বলেন, আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। রাস্তার পাশের সরকারি জমি থেকে মাটি কেটে কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহফুজ এন্ড ব্রার্দাসের স্বত্তাধিকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি কাজ কালীগঞ্জের ঠিকাদার লিটুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। সে কিভাবে কাজ করেছে সেটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঠিকাদার যদি কাউকে চাপ দিয়ে অন্য জায়গা থেকে মাটি কিনে দিতে বাধ্য করে তাহলে সে দাই ঠিকাদারের।
No comments