দুই মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন ভূক্তভোগী শহিদুল ৮০ হাজার টাকায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার দিয়েও পরিশোধ হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার-
মাসিক ৫ হাজার টাকা সুদ চুক্তিতে ৮০ হাজার টাকা নেন লতিফুল আলম ওরফে শহিদুল। এ টাকায় একটি ইজিবাইক কেনেন তিনি। ইজিবাইকটি কিনেও দেন ঋণদাতা আনোয়ার হোসেন। সুদে টাকা নেওয়ার ঘটনাটি ২০১২ সালের এপ্রিলে। চুক্তি অনুযায়ি গত ৬ বছরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন শহিদুল। এখন আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন পাওনাদার। টাকার দাবিতে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহ জেলা আদালতে পৃথক দুইটি মামলাও করেন সুধখোর আনোয়ার হোসেন মোল্লা। আনোয়ার হোসেনমোল্লা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ^রবা গ্রামের জামতলা পাড়ার মৃত ইসমাইল মোল্লা ওরফে খাদেম মোল্লার ছোট ছেলে।
ভূক্তভূগী শহিদুল একজন ইজিবাইক মেকার। সে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় শহিদুল মামলা থেকে মুক্তি রাজনীতিক ও সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে দারে দারে ঘুরছেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সমাধানের চেষ্টা করেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। মামলার পর ২০২১ সালের শুরুতে সামাজিক বৈঠকের মাধমে ১ লাখ টাকা আনোয়ারের হাতে তুলে দেন শহিদুল। আরো ২০ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরতর্তিতে মামলা না তুলে আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন সুদখোর আনোয়ার। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় মামলা একনো চলমান। এখন সুষ্ঠ বিচার পেতে মানুষের দারে দারে ঘুরছেন অসহায় শহিদুল।
সুদখোর আনোয়ার হোসেন জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনেক পুরানো। এখন বিষয়টি নিয়ে আদালত মামলা চলমান রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য অনেকবার অনুরোধ করার পরেও তিনি কথা নাা বলে চলে যান।
আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মতিয়ার রহমান জানান, দুইজনই আমার কাছের মানুষ। শহিদুল বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। আমি ঘটনাটি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত গড়িয়েছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তবে, আমার ভাই আনোয়ার হোসেন শহিদুলের উপর অন্যায় করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোতি ছাড়া সুদভিত্তিক অর্থ লেনদেন অবৈধ। সেটা ব্যক্তি অথবা সংগঠন যাই হোক। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ যদি হেনস্থা বা প্রতারণার সিকার হয় তাহলে আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
No comments