দৈনিক বীর জনতায় সংবাদ প্রকাশের জের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রাণী সাহার স্বামী হরেন্দ্রনাথ॥ প্রতিবেদনটি উপ-পরিচালকের নিকট ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রেরণ।
স্টাফ রির্পোটার ॥
অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে দাতা সদস্য করা,¯ি¬প, প্রাক-প্রাথমিক,রুটিন মেইনটেইন্স ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা আতœসাৎ করার ঘটনায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু এবং বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রাণী সাহার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এতে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পালকে প্রধান করে ও মহেশপুর উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইশতিয়াক আহম্মেদকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে এঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সমাজপতিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রাণী সাহার স্বামী হাসপাতাল রোডস্থ মল্লিক ফার্মেসীর মালিক হরেন্দ্রনাথ। তিনি প্রকৃত দাতা সদস্য রবিউল ইসলামকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য জমি দান না করেও প্রধান শিক্ষিকের আশীর্বাদে দাতা সদস্য হলেন জীবন কুমার ঘোষ এ শিরোনামে দৈনিক বীর জনতাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার ঘোষকে সভাপতি নির্বাচিত করে তারা যোগসাজশে সরকারি অর্থ তছরুপ করেন। এর সাথে সহযোগিতা করেন সহকারী শিক্ষক সেলিম উদ্দিন ও রিতা কুন্ডু। বিদ্যালয়ে প্রতি বছরে সরকারি অনুদান ¯ি¬প ,ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেইন্স ও প্রাক-প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু অবৈধ দাতা সদস্য ও সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষিকা সরকারি অর্থের কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি করেন নেন। একারণেই প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রাণী সাহা বার বার অবৈধ ভাবে জীবন কুমার ঘোষকে দাতা সদস্য করে থাকেন।
রবিউল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেন, এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানুর নিকট অভিযোগ দিলেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি বরং দুর্ব্যবহার করে ক্ষমতার দাপট দেখান। প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রাণী সাহা একই বিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ বছর চাকরি করার সুবাদে তিনি আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এ কারণে তিনি সাধারণ অভিভাবকদের সাথে প্রতিনিয়ত দূর্ব্যবহার করে থাকেন। সময়মত বিদ্যালয়ে হাজির হন না এবং সময়ের আগেই তিনি বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেন।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন আমার নিকট জমা দিয়েছেন। যেহেতু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ২য় শ্রেণীর সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারেন না। বিধায় আমি তদন্ত প্রতিবেদনটি খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালকের নিকট ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রেরণ করেছি। তিনিই দোষী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
No comments