ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষাবোর্ডে তদন্ত কমিটি গঠন
ঝিনাইদহের মহেশপুর বিআরএকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গঠনে অনিয়মের অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। কযেকজন আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার আসামি করা হয় ১৩ জনকে। এই অবস্থায় ‘সুষ্ঠ’ নির্বাচন দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জামিরুল ইসলাম তোতা। কেবল নির্বাচন দেখাননি,রীতিমতো বোর্ডে ভুয়া কমিটির জমা দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি তদন্তের উদ্দ্যেগ নিয়েছেন। তদন্তের দাযিত্ব দেওয়া হযেছে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।
গত ২৭ অক্টোবর মহেশপুরের বিআরএকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তারিখে নির্ধারিত ছিলো। ঐদিন বিধি বহির্ভূতভাবে গোপনে কমিটি গঠন করতে গেলে একপক্ষ বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় চঞ্চল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে মহেশপুর থানায় মামলা করেন।
সংঘর্ষের পর কমিটি গঠন ভন্ডুল হলেও সুচতুর প্রধান শিক্ষক জামিরুল ইসলাম ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিধি বহির্ভূতভাবে কমিটি করে শিক্ষা বোর্ডে জামা দিয়ে অনুমোদন করে নিয়েছেন। বিষয়টি জানাননি হওয়ার পর ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন গত ২২ নভেম্বর শিক্ষা বোর্ডে কমিটি বাতিলের আবেদন করেন। একই সাথে তিনি নতুন করে কমিটি গঠনের আদেশ চান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ নভেম্বর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর এ ঘটনায় মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী জালাল উদ্দীন বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে যে দিন তুমুল মারামারি হলো। কয়েকজন আহত হলেন। থানায মামলা হলো। সেইদিন কি করে কমিটি হয়। প্রধান শিক্ষক সম্পুর্ন জালিয়াতি করে শিক্ষা বোর্ডে কমিটি জমা দিয়ে অনুমোদন করে নিয়েছেন। যা তদন্ত করলে প্রমানিত হবে
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জামিরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল ফোনে বলেন,‘কমিটি গঠনে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তা হলে শিক্ষা বোর্ড তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’
No comments