কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় কোনো চক্ষু চিকিৎসক : ভোগান্তিতে রোগীরা
হুসাইন কবীর সুজন -
ঝিনাইদহ উপজেলার প্রায় ৫ লাখ লোকের জন্য সরকারি হাসপাতালে নেই কোনো চোখের ডাক্তার। ফলে চোখের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকটা বিনা চিকিৎসায়। জেলা বা জেলার বাইরে থেকে যেসব চোখের ডাক্তার বিভিন্ন ক্লিনিকে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ এসে রোগী দেখেন, তাদের ফি বেশি হওয়ার কারণে গরিব রোগীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। ২০০৮ সাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু পদ সৃষ্টি হলেও আজ পর্যন্ত ঐ পদে কোনো ডাক্তারকে পদায়ন করা হয়নি। কালীগঞ্জ হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের তথ্য মতে, ২০০৮ সাল থেকে হাসপাতালে চোখের চিকিৎসকের পদটি শূন্য রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আজও আসেননি কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।এই উপজেলায় ১০ জন কনসালটেন্ট ও ২২ জন মেডিকেল অফিসারে পদায়ন থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১৭ জন ডাক্তার উপজেলার বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে কথা হয় ৬৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুল জব্বারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চোখের সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধরে অসুস্থ। কালীগঞ্জ হাসপাতালে আসিছি ডাক্তার দেখাতে। সবাই বললো এ হাসপাতালে চোখের কোনো ডাক্তার নেই।এত বড় হাসপাতালে যদি চোখের ডাক্তার না থাকে তাহলে আমরা চিকিৎসা নেবো কিভাবে? বাইরে বেসরকারি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভিজিট কমপক্ষে ৫০০ টাকা এবং সপ্তাহের একদিন বা দুইদিন ডাক্তার পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের ডাক্তার সংকট রয়েছে।নিয়মিতভাবে শূন্য পদের তালিকা আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাচ্ছি।আশাকরি শূন্য পদ পূরণ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চোখের ডাক্তারও নিয়মিত সেবা দিতে পারবেন। কালীগঞ্জে সাধারণ চক্ষু রোগীরা প্রত্যাশা করেন অতি দ্রুত সরকারি হাসপাতালে চক্ষু ডাক্তারের পদায়ন হবে।মানুষের ভোগান্তি কমবে।
No comments