ঈদ- অসহায় মানুষরে পাশে দাঁড়ানোর র্বাতা
ঈদ আরবি শব্দ। শব্দটি খুশ,ি উৎসব এবং আনন্দ প্রকাশক র্অথইে ব্যবহার হয়ে থাক।ে শব্দটি আরবি হলওে বাংলা, ইংরজে,ি র্উদু, র্ফাসি এবং হন্দিসিহ প্রায় সব ভাষাতইে শব্দ ও র্অথরে কোনো র্পাথক্য নইে।
ইসলামী শরয়িতরে পরভিাষায়, জলিহজ্ব মাসরে ১০ তারখি থকেে ১২ জলিহজ্ব দুপুর র্পযন্ত মহান আল্লাহর নকৈট্য লাভরে উদ্দশ্যেে প্রাণী জবাই করাকে ঈদুল আযহা বলা হয়।
মহান ¯্রষ্টা রব্বুল আলামনি সমস্ত মাখলুকাত সৃষ্টরি পর নজিকেে আত্মপ্রকাশ করার ইচ্ছা পোষণ করলনে, এরপর সৃষ্টরি শ্রষ্ঠেত্বরে র্সবােচ্চ সম্মান ও র্মযাদায় অধষ্ঠিতি কর,ে ভালোবাসা ও নজি কুদরতি হাত দয়িে সৃষ্টি করলনে আদমক,ে এরপর আদমরে প্রতি আল্লাহ-প্রদত্ত ভালোবাসার পরক্ষিা নলিনে জানমালরে কোরবানরি মাধ্যম।ে
তনিি ইরশাদ করনে, ‘আমি প্রত্যকে সম্প্রদায়রে জন্য কোরবানরি নয়িম করে দয়িছেি যাতে আমি তাদরে জীবনোপকরণ-স্বরূপ যসেব চতুষ্পদ জন্তু দয়িছেি সগেুলোর ওপর তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর।ে’ সুরা হজ, আয়াত ৩৪।
হজরত আদম (আ.) থকেে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম র্পযন্ত সব নবী-রসুল ও তাঁদরে অনুসারীরা কোরবানি করছেনে। হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছলেে হাবলি-কাবলিরে মাধ্যমে প্রথম কোরবানরি সূত্রপাত।
এরপর আল্লাহর নবী হজরত নুহ, ইয়াকুব, মুসা (আ.)-এর সময়ও কোরবানরি প্রচলন ছলি। মুসলমি জাতরি পতিা হজরত ইবরাহমি (আ.) আল্লাহ- প্রমেে নজিরে ছলেকেে কোরবানি করার অগ্নপিরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে এক অবস্মিরণীয় ইতহিাস সৃষ্টি করনে। আজ থকেে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে হজরত ইবরাহমি (আ.) স্বপ্নযোগে সবচয়েে প্রয়ি বস্তু আল্লাহর রাহে উৎর্সগ করার জন্য আদষ্টি হন। আল্লাহর আদশে বাস্তবায়নে পতিার ইচ্ছার সঙ্গে সম্মতি জ্ঞাপন করে শশিু পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) নজিরে জান আল্লাহর রাহে উৎর্সগ করতে নর্দ্বিধিায় সম্মত হয়ে আত্মত্যাগরে বস্মিয়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করনে। এটি ছলি আল্লাহর পক্ষ থকেে হজরত ইবরাহমি (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসার অগ্নপিরীক্ষা। বহু চাওয়া-পাওয়া ও প্রতীক্ষার ফসল, চোখরে মণ,ি ১৩ বছররে পুত্রধন, কলজিার টুকরা নয়নরে মণি শশিু পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-ক,ে স্বীয় মমতাময়ী মা হজরত হাজরো (আ.) স্বীয় হস্তে গোসল করয়ি,ে নতুন পোশাক, আতর গোলাপ মখেে সুসজ্জতি কর,ে বুকরে মানকি, নাড়ছিঁেড়া ধনকে চরিদনিরে মতো বদিায় দান করনে। মায়রে কাছ থকেে বদিায় নয়িে পতিার হাত ধরে চলে গলেনে মনিার প্রান্তর।ে পতিা-পুত্র দুজনরে প্রস্তুতরি মধ্যে কোনো রকমরে কমতি ছলি না।
ক্ষণস্থায়ী এসব মায়া-মমতা, ভালোবাসা উপক্ষো করে আল্লাহর বড় ভালোবাসা পাওয়ার আশায় ছোট ভালোবাসার গলায় ধারালো ছুরি সজোরে চালয়িে দলিনে। তনিি বললনে হে আমার প্রভু! তোমার ভালোবাসার কাঙাল, ইবরাহমিরে সব ভালোবাসা তোমার রাহে উৎর্সগ করলাম। তুমি গ্রহণ কর হে প্রভু! তুমি কবুল কর। আল্লাহ তাঁর কোরবানি কবুল করলনে। তনিি মহান প্রভুর ভালোবাসার অগ্নপিরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলনে। শশিু পুত্র ইসমাইলরে স্থলে তনিি পাঠয়িে দলিনে আদম (আ.)-এর পুত্র হাবলিরে কোরবানকিৃত জান্নাতি দুম্বা। তনিি মহান প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলনে।
নবীজি বললনে, পতিা ইবরাহমি (আ.)-এর সুন্নতই কোরবান।ি মানুষরে পরর্বিতে পশু কোরবানি এখান থকেইে নর্ধিারতি হয়।
এ সর্ম্পকে পবত্রি কুরআনে বলা হয়ছেে -
‘ওদরেকে আদমরে দুই পুত্ররে (হাবীল ও ক্বাবীল) ঘটনা ঠকিঠকিভাবে শোনাও; যখন তারা (আল্লাহর উদ্দশ্যে)ে একটি করে কোরবানি করছেলি। তাদরে একজনরে কোরবানি কবুল হল, অন্যজনরে হল না। তখন দ্বতিীয়জন (প্রথমজনক)ে বলল, ‘ আমি তোমাকে খুন করে ফলেব।’ প্রথমজন বলল, ‘আল্লাহ তো কবেল মুত্তাকীদরে কোরবানি কবুল করনে।’ ( আল মায়দিাহ:২৭)।
এরই ধারাবাহকিতায় হযরত ইব্রাহমি (আঃ) র্পযন্ত পৌঁছ।ে অনন্তর তনিি মহা পরক্ষিার সম্মুখীন হন। স্বীয় পুত্র ইসমাইল (আঃ) কে উৎর্সগ করার দৃঢ় মনোবল ও মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার র্ঈষণীয় ঈমান নয়িে আত্মোৎর্সগরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রখেে যান। তার আত্মত্যাগে মহান প্রতপিালক এতোই সন্তুষ্ট হয়ে পড়নে য,ে পরর্বতী মুসলমি উম্মাহর উপর এই কোরবানরি বধিান অত্যাবশ্যক করে দনে। হযরত ইব্রাহমি ও ইসমাইল (আঃ) এর মাঝে ঘটে যাওয়া চমৎকার র্বণনা পবত্রি কুরআনে এরশাদ হয়ছে,ে
‘অতঃপর যখন সে বাবার সাথে ছুটোছুটি করার বয়সে উপনীত হল তখন (একদনি) ইবরাহীম বলল, ‘ বৎস! আমি স্বপ্নে দখেি য,ে আমি তোমাকে জবাই (আল্লাহর নামে কোরবান)ি করছ।ি অতএব ভবেে বল, তোমার মত ক?ি’ তনিি (ইসমাইল) বললনে, ‘বাবা! তোমাকে যা করতে বলা হচ্ছে তাই কর। আমাকে তুমি ইনশাআল্লাহ ধর্যৈশীল পাব।ে’ (আস সফ্ফাত : ১০২)।
এরপর এই ধারাক্রম যথানয়িমে বশি^নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম র্পযন্ত পৌঁছে এবং উম্মতে মুহাম্মদীর সার্মথবানরে জন্য ঈদুল আযহায় কোরবানি করা ওয়াজবি বা আবশ্যক হসিবেে সাব্যস্ত করে দয়ো হয়।
পবত্রি কুরআনে র্বণতি হয়ছে-ে অতএব, (কৃতজ্ঞতাস্বরূপ) তোমার প্রভুর উদ্দশ্যেে নামায পড় ও কোরবানি কর। (আল কাউছার : ০২)
তমেনভিাবে সহহি বুখাররি ‘কোরবানরি বধিান অধ্যায়,ে ইবনে উমর (রা.) বলনে ঃ কোরবানি সুন্নত এবং স্বীকৃত প্রথা’ পরচ্ছিদেে এসছে,ে আনাস ইবনু মালকি (রাঃ) থকেে র্বণতি। তনিি বলনে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে, যে ব্যক্তি সালাত (নামাজ) আদায়রে আগে যবহে করল সে নজিরে জন্যই যবহে করল। আর যে ব্যক্তি সালাত আদায়রে পর যবহে করল তার কুরবানী র্পূণ হলো এবং সে মুসলমিদরে নীতি অনুসরণ করল। [ হাদসি নং ৫১৪৮, ইসলামকি ফাউন্ডশেন।]
সুতরাং, ঈদুল আযহা কবেল পশু কোরবানি করা এবং আত্মীয় স্বজনদরে নয়িে আনন্দ প্রমোদকে বুঝায় না বরং ঈদরে সবচয়েে গুরুত্বর্পূণ বষিয় হচ্ছ,ে আত্মোৎর্সগ, নজিরে ভতেরে থাকা পশুত্বরে মূলতপাটন এবং একমাত্র রবরে সন্তুষ্ট।ি ঈমান আনয়নরে মাধ্যমে সবাই মুমনি বা মুসলমি হসিবেে স্বীকৃতি লাভ কর।ে ঈমান গ্রহণরে সাথে সাথইে প্রত্যকে মুমনি ইসলামরে সকল বষিয়রে অবচ্ছিদ্যে অংশ হসিবেে নজিরে অবস্থান স্পষ্ট কর।ে সুখ দুঃখ এবং সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা র্সবাবস্থায় ইসলামই একমাত্র অনুশাসন একথাটি নজিরে মধ্যে দৃঢ় করে নয়ো। প্রকৃত মুমনিরে মৌলকি চন্তিা চতেনা এমন হওয়াটাই কাম্য।
ঈদ মুসলমি এবং প্রত্যকে মুমনিরে হৃদয়ে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার অনন্য মাধ্যম। ইসলাম একটি তাৎর্পযর্পূণ জীবনব্যবস্থা। এর প্রতটিি আদশে নষিধেরে সাথে জড়য়িে আছে মুসলমিদরে আত্মাকে পরশিুদ্ধ করা এবং প্রশান্ত করা । ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি একথাটি সবার মুখে রটে বড়োয় কন্তিু ঈদুল ফতির বা ঈদুল আজহার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়য়িে থাকা শক্ষিা এবং এর মহত্ত্বরে প্রতি ক’জনই বা গুরুত্ব দয়ে। ঈদ যমেনি আনন্দরে র্বাতা দয়ে ঠকি তমেনভিাবে শক্ষিাদয়ে মহান আল্লাহর আদশে নষিধে পালনরে প্রতি নজিকেে উৎর্সগ করার। নজিরে মাঝে থাকা পশুত্ব ও অমানবকি মন মানসকিতা বর্সিজন দয়োর। র্বাতা দয়ে অসহায় মানুষদরে পাশে দাঁড়ানোর। সুপথ দখোয় ন্যায় নীতি আর নষ্ঠিার পথে চলার। শক্ষিা দয়ে সুন্দর ও পবত্রি মনরে অধকিারী হওয়ার।
আমরা ঈদুল আযহার প্রকৃত মহত্ত্ব ও তাৎর্পয নজিে লালন করতে শখি।ি অসুন্দর ও কলুষতি হৃদয় পবত্রি করার লক্ষ্যে ঈদুল আজহায় শক্ষিা গ্রহণ কর।ি করোনার এই র্দুযােগ ও মহামারীতে অসহায়দরে পাশে দাঁড়াতে চষ্টো কর।ি অন্য সময় দান সদাকাহ এবং সহযোগতিার পরমিাণ যটেুকু ছলি এখন সটো আরো বাড়াতে চষ্টো কর।ি সবশিষে সকলরে প্রতি র্সবাত্মক সহযোগতিার হাত বাড়য়িে দইে।
এম এ কবীর
সভাপত,িঝনিাইদহ জলো রপর্িোর্টাস ইউনটি,িঝনিাইদহ।
No comments