কালীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত॥ অভিযুক্ত রানা আটক
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মধ্যরাতে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ইসরাফিল হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি পৌর এলাকার আড়পাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও কাউন্সিলার মুক্তার হোসেনের ভাগ্নে। এ ঘটনায় পুলিশ শিবনগর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রানা কে আটক করেছে। রানা বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১ টার দিকে রানা শিবনগর এলাকায় মানিক দাসের বাড়িতে মদ খেয়ে মাতলামি করেন। এ সময় মানিক দাসের স্ত্রী ও ছেলে বিধান কে মারধর ও গালাগালি করে রানা। হঠাৎ ইসরাফিল এসে মাতাল রানাকে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেন। এরপরই মানিক দাসের বাড়ির ২০ গজ দূরে ইসরাফিল চিৎকার করেন। স্থানীয়রা এসে দেখতে পান ইসরাফিল মাটিতে পড়ে আছেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছুরিকাঘাতের পর স্থানীয়রা রানাকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন।
মানিকের স্ত্রী পারুল দাস জানান, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় রানা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতো। শুক্রবার রাতে সে ঢুলতে ঢুলতে আমাদের বাড়িতে আসে। এসময় গালিগালাজ ও আমাকে, আমার ছেলেকে মারধর করে। ওর মাকে নিয়ে যেতে বললে ইসরাফিল এসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর আধাঘন্টা পর ইসরাফিলের মৃত্যুর সংবাদ শুনি। তিনি আরো জানান, রানা মাঝে মাঝে রানা মদপান করতো।
বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ ইমতিয়াজ আলম জানান, ইসরাফিল হাসপাতলে পৌঁছানোর আগেই মারা যায়। তার পেটে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করার ফলে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। তাছাড়া এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত রানার মুখ দিয়ে অ্যালকোহল এর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহফুজুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত রানা কে আটক করেছে।
No comments