শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ট্রেডের শিক্ষক ফজলুর রহমান কিভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন, জনমনে প্রশ্ন



ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ট্রেডের শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে কর্তৃপক্ষকে মেনেজ করে ট্রেড পাল্টিয়ে সাধারণ শাখায় সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  বর্তমানে তিনি অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়,  তিনি ১৯৯৮ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে ট্রেড শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি একই পদে বহাল ছিলেন। তিনি ট্রেড পাল্টিয়ে ২০১৪ সালে সাধারণ শাখায় সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তিনি অনিয়ম দূর্ণীতিতে মেতে উঠেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নামাজ ঘরের টিনের চাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ করে নিজের আয়ত্বে রেখেছেন।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা হতে ১৯৯২ সালে দাখিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর হতে ১৯৯৪ সালে মানবিক শাখা হতে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬ সালে বিএ ও ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিভাগে বিএড পাশ করেন।


অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার সব সনদপত্র আছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নতিপত্র আলমারিতে রাখা ছিল। এরই মাঝে প্রতিষ্ঠানে একটু ঝামেলা হওয়ার কারণে সেগুলো খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোকেশনাল ট্রেড থেকে সাধারণ শাখায় নিয়োগ পেয়েছি। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়।


এ ঘটনায় বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৈয়বুর রহমান খান বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর আমার জানা মতে প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। তবে প্রষ্ঠিানের প্রধান শিক্ষক নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। সেকারণে ফজলুর রহমানের কিছু কাগজপত্র খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এ বিষয়টি অবগত আছি। চেষ্টা চলছে দ্রুত ওই সকল কাগজপত্র উদ্ধারের জন্য। 


এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম বলেন আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ফজলুর রহমান ট্রেড শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। কিন্তু আমার জানা মতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সে সাধারণ শাখায় নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে কিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তা আমার জানা নেই। সঠিক তদন্ত হলে এর মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। খোজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবো। যদি দোষি প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি থাকে এবং শিক্ষা নীতিমালার আওতায় পড়ে তাহলে তিনি ট্রেড পাল্টিয়ে সাধারণ শাখায় আসতে পারেন। অন্যথায় কোন সুযোগ নেই।



No comments

Powered by Blogger.