ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং একজন স্বপ্নবাজ ড. আসকারি
তরিকুল ইসলাম, ইবিঃ
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি যখন দুর্নীতি আর অনিয়মে জর্জরিত আর ১১ জন ভিসির অসমাপ্ত মেয়াদকাল অতিক্রম করার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ইবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে ১২তম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেন। ২১শে আগষ্ট ২০১৬ সালে ১২তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নানান প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন তিনি ৷ দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও ছয় মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ সেশনজট দূরীকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ৷
সেই থেকেই একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপটই পরিবর্তন করে দিয়েছেন ড. আসকারী ৷ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ দশক পেরিয়ে ইতিহাসে যে নামটি এখন পর্যন্ত সফল উপাচার্যের খেতাব পেয়েছেন তিনি, যা হয়তো আগামী শত বছরেও জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ইতোমধ্যে সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মনোরম শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টার কোন ত্রুটি না রাখার অঙ্গীকার করেছেন ৷ এছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতায় স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। দুর্নীতি করলেই শাস্তি নিশ্চিৎ করেছেন, যার প্রভাব বিভিন্ন দপ্তরগুলো গেলে লক্ষ্য করা যায়।
৪র্থ সমাবর্তন ছিল ড. আসকারি প্রশাসনের অন্যতম আকর্ষণ। দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তন ছিল এটি ৷ সমার্বতনে বিভাগীয় উপকমিটির একজন সদস্য হিসেবে দেখেছি ড. আসকারির একনিষ্ঠতা ৷ ড. আসকারি সার্টিফিকেট স্বাক্ষরের জন্য সাড়ে আট লক্ষ টাকা গ্রহণ করেনি।
গত চার বছরে প্রতিদিনই কোন না কোন সৃজনশীল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ড. আসকারি। অকল্পনীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নমনীয় গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা। উন্নয়নের ধারায় যুক্ত রয়েছেন ড. আসকারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থী সবাই একসূত্রে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে এক নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ অবকাঠামোগত দিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে বর্তমান প্রশাসন। উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইবিতে ৪ দশকের ইতিহাসে এই প্রথম ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রোজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। একাডেমিক উন্নয়ন, আর্থিক খাতে উন্নয়ন, অবকাঠাকামোগত উন্নয়ন, পরিবহন ও আবাসিক সমস্যার সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকীকরণে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন সকলের নিকট ৷
ড. রাশিদ আসকারি ১৯৬৫ সালের ১লা জুন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আসকারপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর আসকারি ১৯৮০ সালে রাজশাহী বোর্ড এর অধীনে প্রথম বিভাগে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন এবং ১৯৮২ সালে একই বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগসহ বোর্ডে ৫ম স্থান অধিকার করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অর্নাস ও ১৯৮৬ সালে মার্স্টাস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভারতের পুণা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. আসকারি ১৯৯০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সার পর্যন্ত সৌদি আরবের কিং খালিদ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভিজিটিং প্রফেসর পদে কর্মরত ছিলেন। ড. আসকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে তিন বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ মেয়াদে ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ তিনি ১৯৯৯-২০০০ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং একই বছর তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ড. আসকারি ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির আজীবন সদস্য।
ড. রাশিদ আসকারির বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, তাঁর প্রমাণস্বরূপ ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চর্চার উর্বর ঘাটি হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রধান ফটকে অনিন্দ্য সুন্দর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুবিশাল ম্যুরাল ‘মৃতুঞ্জয়ী মুজিব’, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’, ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ ‘একুশে কর্ণার’, বঙ্গবন্ধু হলে শ্বাশ্বত মুজিব' ও মুক্তির আহ্বান ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. শামসুজ্জামান খানকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ৷ এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ, মাদক -সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্র বিস্তৃত করেছেন ৷ ইবি এখন সাংস্কৃতি চর্চার অন্যতম চারণভূমি হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে ৷
ড. আসকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম উপাচার্য, যিনি সম্প্রতি (আগামী ২১ আগষ্ট) তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছেন ৷ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোন উপাচার্য ইতোপূর্বে তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করে যেতে পারেন নি ৷ উন্নয়নের কান্ডারি, শিক্ষার্থীদের চোখে সারা দেশের সকল ভিসির সেরা ভিসি হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ড. আসকারি পুনরায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ইবির সবুজ পূন্যভূমিতে স্বপ্ন পূরণের এক দুরন্ত পথিক হবেন, সেই প্রত্যাশায় ইবিয়ানরা ৷
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি যখন দুর্নীতি আর অনিয়মে জর্জরিত আর ১১ জন ভিসির অসমাপ্ত মেয়াদকাল অতিক্রম করার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ইবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে ১২তম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেন। ২১শে আগষ্ট ২০১৬ সালে ১২তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নানান প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন তিনি ৷ দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও ছয় মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ সেশনজট দূরীকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ৷
সেই থেকেই একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপটই পরিবর্তন করে দিয়েছেন ড. আসকারী ৷ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ দশক পেরিয়ে ইতিহাসে যে নামটি এখন পর্যন্ত সফল উপাচার্যের খেতাব পেয়েছেন তিনি, যা হয়তো আগামী শত বছরেও জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ইতোমধ্যে সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মনোরম শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টার কোন ত্রুটি না রাখার অঙ্গীকার করেছেন ৷ এছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতায় স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। দুর্নীতি করলেই শাস্তি নিশ্চিৎ করেছেন, যার প্রভাব বিভিন্ন দপ্তরগুলো গেলে লক্ষ্য করা যায়।
৪র্থ সমাবর্তন ছিল ড. আসকারি প্রশাসনের অন্যতম আকর্ষণ। দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তন ছিল এটি ৷ সমার্বতনে বিভাগীয় উপকমিটির একজন সদস্য হিসেবে দেখেছি ড. আসকারির একনিষ্ঠতা ৷ ড. আসকারি সার্টিফিকেট স্বাক্ষরের জন্য সাড়ে আট লক্ষ টাকা গ্রহণ করেনি।
গত চার বছরে প্রতিদিনই কোন না কোন সৃজনশীল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ড. আসকারি। অকল্পনীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নমনীয় গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা। উন্নয়নের ধারায় যুক্ত রয়েছেন ড. আসকারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থী সবাই একসূত্রে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে এক নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ অবকাঠামোগত দিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে বর্তমান প্রশাসন। উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইবিতে ৪ দশকের ইতিহাসে এই প্রথম ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রোজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। একাডেমিক উন্নয়ন, আর্থিক খাতে উন্নয়ন, অবকাঠাকামোগত উন্নয়ন, পরিবহন ও আবাসিক সমস্যার সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকীকরণে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন সকলের নিকট ৷
ড. রাশিদ আসকারি ১৯৬৫ সালের ১লা জুন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আসকারপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর আসকারি ১৯৮০ সালে রাজশাহী বোর্ড এর অধীনে প্রথম বিভাগে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন এবং ১৯৮২ সালে একই বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগসহ বোর্ডে ৫ম স্থান অধিকার করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অর্নাস ও ১৯৮৬ সালে মার্স্টাস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভারতের পুণা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. আসকারি ১৯৯০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সার পর্যন্ত সৌদি আরবের কিং খালিদ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভিজিটিং প্রফেসর পদে কর্মরত ছিলেন। ড. আসকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে তিন বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ মেয়াদে ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ তিনি ১৯৯৯-২০০০ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং একই বছর তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ড. আসকারি ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির আজীবন সদস্য।
ড. রাশিদ আসকারির বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, তাঁর প্রমাণস্বরূপ ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চর্চার উর্বর ঘাটি হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রধান ফটকে অনিন্দ্য সুন্দর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুবিশাল ম্যুরাল ‘মৃতুঞ্জয়ী মুজিব’, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’, ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ ‘একুশে কর্ণার’, বঙ্গবন্ধু হলে শ্বাশ্বত মুজিব' ও মুক্তির আহ্বান ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. শামসুজ্জামান খানকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ৷ এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ, মাদক -সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্র বিস্তৃত করেছেন ৷ ইবি এখন সাংস্কৃতি চর্চার অন্যতম চারণভূমি হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে ৷
ড. আসকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম উপাচার্য, যিনি সম্প্রতি (আগামী ২১ আগষ্ট) তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছেন ৷ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোন উপাচার্য ইতোপূর্বে তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করে যেতে পারেন নি ৷ উন্নয়নের কান্ডারি, শিক্ষার্থীদের চোখে সারা দেশের সকল ভিসির সেরা ভিসি হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ড. আসকারি পুনরায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ইবির সবুজ পূন্যভূমিতে স্বপ্ন পূরণের এক দুরন্ত পথিক হবেন, সেই প্রত্যাশায় ইবিয়ানরা ৷
No comments