দরিদ্র কৃষকের শেষ ভরসা ৯২ শতক জমির ধরন্ত তরমুজ গাছগুলো কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা, ক্ষতি প্রায় ৫ লাখ টাকার
স্টাফ রিপোর্টার-
সবুজ তরতাজা গাছগুলোর বোটায় বোটায় ঝুলে আছে কালো তরমুজ (খরমুজ)। অনেকটা বড় হয়েছে। বোটা ছিড়ে মাটিতে পড়ার ভয়ে জাল জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এসব কঠিন পরিশ্রম করার পর দরিদ্র কৃষক আমিরুল ইসলাম অপেক্ষায় আছেন এই তরমুজ বিক্রি করে কিছু পয়সা পাবেন। যা দিয়ে চাষের দেনা পরিশোধের পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
বুধবার দুপুরে ক্ষেতের ধারে গিয়ে সবুজ গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে মুহুর্তের মধ্যে তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। হাউ-মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কৃষক আমিরুল। গাছগুলো টেনে টেনে দেখেন সবগুলো গাছের গোড়া থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এভাবে তার ৯২ শতক জমির তরমুজ গাছ কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এখন দেনার দায়ে পথে বসা ছাড়া আর উপায় নেই বলে জানান আমিরুল ইসলাম। ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের।
ওই গ্রামের মৃত খোদাবক্স খাঁ এর চার পুত্রের মধ্যে ছোট আমিরুল ইসলাম ওরফে মিঠু খাঁ (৩৮)। তিনি জানান, প্রায় ৫ বছর হয়েছে তারা সবাই পৃথক সংসার করছেন। তিনি মাঠে চাষযোগ্য ৪ বিঘা জমি পেয়েছেন। এই জমি চাষ করে কোনো রকমে সংসার চালান। কিন্তু উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে স্ত্রী ও এক পুত্র নিয়ে ভালো ভাবে বাঁচা কষ্টকর হয়ে উঠছিল। এই অবস্থায় চিন্তা করেন চাষের পরিবর্তন নিয়ে আসা। যার মাধ্যমে একটু বেশি পয়সা উপার্যন হবে। সেই চিন্তা থেকে প্রায় ৩ বিঘা অর্থাৎ ৯২ শতক জমিতে চলতি মার্চ মাসে তরমুজের চাষ করেন। জমি তৈরী থেকে শুরু করে টাল দেওয়া, ঝাল দিয়ে তরমুজ ঠেকানো সবই শেষ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লাখ টাকা। তার ক্ষেতে তরমুজের গাছগুলোও খুব ভালো হয়েছিল, গাছে তরমুজও এসেছিল অনেক। আশা ছিল এই তরমুজ বিক্রি করবেন। তিনি জানান, আর ১৫ দিন পরই তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করা যেতো। তিনি আরো জানান, বাজারে বর্তমানে এই তরমুজের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। সেই হিসাবে তার ক্ষেতের তরমুজ আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারতেন।
আমিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালেও তিনি ক্ষেতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি তার ক্ষেতের গাছগুলো সব কেটে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে আবার ক্ষেতে গেলে দেখতে পান সবুজ গাছগুলো শুকিয়ে এসেছে, গাছের পাতা নুইয়ে পড়েছে। এই দেখে হতবাক হয়ে যান। গাছের গোড়ায় হাত দিয়ে দেখতে পান সবগুলো গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। এই দেখে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না। তিনি জানান, এই চাষ করতে গিয়ে তিনি এখনও লক্ষাধিক টাকা ঋণ রয়েছেন। যা এনজিও ও গ্রামের কয়েকজনের নিকট থেকে নিয়েছেন। দুবৃত্তরা তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি কয়েছে। গাছে থাকা তরমুজগুলো গ্রামের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গরু-ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছেন। এখন কিভাবে দেনা পরিশোধ করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না।
কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের ইনছার আলীর সঙ্গে তার বড় ভাই তিজারত আলী খাঁ এর একটি রাস্তায় মাটি ফেলা নিয়ে আনুমানিক তিন মাস পূর্বে থেকে দ্বন্দ চলে আসছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই উভয় পরিবারের মধ্যে ছোট বড় ঘটনা লেগেই আছে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভায়ের উপর রাগ দেখিয়ে তার ফসলের ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারনা করছেন। এছাড়া গ্রামে তার কোনো শত্রু নেই বলে জানান। তিনি আরো জানান, ঘটনার রাতে ৯ টার দিকে তার দুই ভাতিজা ইনছার আলীর তিন পুত্রকে তার তরমুজের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন। তারা ভেবেছিল মাঠের মধ্য দিয়ে তারা হয়তো বাড়ি ফিরছে। এখন সন্দেহ হচ্ছে তারা ফসল ক্ষতি করতে সেখানে গিয়েছিল। তিনি এ বিষয়ে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে এ জাতীয় একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছেন। যা স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সবুজ তরতাজা গাছগুলোর বোটায় বোটায় ঝুলে আছে কালো তরমুজ (খরমুজ)। অনেকটা বড় হয়েছে। বোটা ছিড়ে মাটিতে পড়ার ভয়ে জাল জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এসব কঠিন পরিশ্রম করার পর দরিদ্র কৃষক আমিরুল ইসলাম অপেক্ষায় আছেন এই তরমুজ বিক্রি করে কিছু পয়সা পাবেন। যা দিয়ে চাষের দেনা পরিশোধের পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
বুধবার দুপুরে ক্ষেতের ধারে গিয়ে সবুজ গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে মুহুর্তের মধ্যে তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। হাউ-মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কৃষক আমিরুল। গাছগুলো টেনে টেনে দেখেন সবগুলো গাছের গোড়া থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এভাবে তার ৯২ শতক জমির তরমুজ গাছ কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এখন দেনার দায়ে পথে বসা ছাড়া আর উপায় নেই বলে জানান আমিরুল ইসলাম। ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের।
ওই গ্রামের মৃত খোদাবক্স খাঁ এর চার পুত্রের মধ্যে ছোট আমিরুল ইসলাম ওরফে মিঠু খাঁ (৩৮)। তিনি জানান, প্রায় ৫ বছর হয়েছে তারা সবাই পৃথক সংসার করছেন। তিনি মাঠে চাষযোগ্য ৪ বিঘা জমি পেয়েছেন। এই জমি চাষ করে কোনো রকমে সংসার চালান। কিন্তু উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে স্ত্রী ও এক পুত্র নিয়ে ভালো ভাবে বাঁচা কষ্টকর হয়ে উঠছিল। এই অবস্থায় চিন্তা করেন চাষের পরিবর্তন নিয়ে আসা। যার মাধ্যমে একটু বেশি পয়সা উপার্যন হবে। সেই চিন্তা থেকে প্রায় ৩ বিঘা অর্থাৎ ৯২ শতক জমিতে চলতি মার্চ মাসে তরমুজের চাষ করেন। জমি তৈরী থেকে শুরু করে টাল দেওয়া, ঝাল দিয়ে তরমুজ ঠেকানো সবই শেষ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লাখ টাকা। তার ক্ষেতে তরমুজের গাছগুলোও খুব ভালো হয়েছিল, গাছে তরমুজও এসেছিল অনেক। আশা ছিল এই তরমুজ বিক্রি করবেন। তিনি জানান, আর ১৫ দিন পরই তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করা যেতো। তিনি আরো জানান, বাজারে বর্তমানে এই তরমুজের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। সেই হিসাবে তার ক্ষেতের তরমুজ আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারতেন।
আমিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালেও তিনি ক্ষেতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি তার ক্ষেতের গাছগুলো সব কেটে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে আবার ক্ষেতে গেলে দেখতে পান সবুজ গাছগুলো শুকিয়ে এসেছে, গাছের পাতা নুইয়ে পড়েছে। এই দেখে হতবাক হয়ে যান। গাছের গোড়ায় হাত দিয়ে দেখতে পান সবগুলো গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। এই দেখে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না। তিনি জানান, এই চাষ করতে গিয়ে তিনি এখনও লক্ষাধিক টাকা ঋণ রয়েছেন। যা এনজিও ও গ্রামের কয়েকজনের নিকট থেকে নিয়েছেন। দুবৃত্তরা তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি কয়েছে। গাছে থাকা তরমুজগুলো গ্রামের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গরু-ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছেন। এখন কিভাবে দেনা পরিশোধ করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না।
কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের ইনছার আলীর সঙ্গে তার বড় ভাই তিজারত আলী খাঁ এর একটি রাস্তায় মাটি ফেলা নিয়ে আনুমানিক তিন মাস পূর্বে থেকে দ্বন্দ চলে আসছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই উভয় পরিবারের মধ্যে ছোট বড় ঘটনা লেগেই আছে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভায়ের উপর রাগ দেখিয়ে তার ফসলের ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারনা করছেন। এছাড়া গ্রামে তার কোনো শত্রু নেই বলে জানান। তিনি আরো জানান, ঘটনার রাতে ৯ টার দিকে তার দুই ভাতিজা ইনছার আলীর তিন পুত্রকে তার তরমুজের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন। তারা ভেবেছিল মাঠের মধ্য দিয়ে তারা হয়তো বাড়ি ফিরছে। এখন সন্দেহ হচ্ছে তারা ফসল ক্ষতি করতে সেখানে গিয়েছিল। তিনি এ বিষয়ে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে এ জাতীয় একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছেন। যা স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
No comments