ইবিতে র্যাগিং; ক্ষমা চেয়েই পার অভিযুক্তরা
বিপ্লব খন্দকার ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। এঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বিভাগীয় সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ঘরোয়া পরিবেশে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করেছেন কর্তৃপক্ষ।খোজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সাথী, অনন্যা নারগিস, তাজমীন নাহার এবং জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুন র্যাগ দেয় ঐ ছাত্রীকে।
এঘটনায় ভূক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ পত্রটি প্রক্টরকে দিয়েছিল বিভাগ সভাপতি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। প্রক্টর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের নিয়ে বুধবার দুপুরের দিকে আলোচনায় বসে উভয় বিভাগের সভাপতি। এসময় ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীর ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে ঘরোয়া পরিবেশেই তার সমাধান করেন তারা।
এদিকে র্যাগিং এর মতো অপরাধের বিচার শুধুমাত্র ক্ষমা চাওয়াতেই সীমাবদ্ধ হওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং এর ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, “শুনেছি বিভাগের সভাপতিরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। আগামী শনিবার (৭ মার্চ) প্রতিবেদন জমা দিবো।”
এ বিষয়ে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা বলেন, “বিষয়টি প্রক্টর আগেই শুনেছিল। তারপর আমরা উভপক্ষ শুনলাম। আসলে যেটুকু শুনলাম, তাতে শাস্তিযোগ্য বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয় নি। সবাই এ বিষয়ে একমত হয়েছি।”
সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতি ও প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন, “মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে আমার সবাই বসেছিলাম। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি র্যাগিংয়ের পর্যায় পড়ে না। অভিযুক্তরা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে ও মেয়েটি ক্ষমা করে দিয়েছে। এভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।”
No comments