ইবিতে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত

বিপ্লব খন্দকার, ইবি:-
দেশে ভোক্তার অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে আসছে কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ। দেশের প্রায় ১৬ কোটি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকেন সংগঠনটি। প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে ভোক্তা অধিকার। যার ফলে সুবিধা নিচ্ছে মুনাফাভোগী একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এমন প্রেক্ষাপটেই সারা বিশ্বের মতো আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। দিবসটি পালন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষে ইবি শাখার কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনাসভাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ইবি শাখার সম্পাদক সাহেদুল ইসলামের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মেহের আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. রাশেদুজ্জামান, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম জুয়েল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইবি শাখার কনজুমারের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবারের দিবসটি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে, যার প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সুরক্ষিত ভোক্তা অধিকার। দিনটি ঘিরে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ থেকে শুরু করে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ। এছাড়া ভোক্তার অভিযোগ জানানো সহজ করার লক্ষ্যে ভোক্তা হটলাইন নম্বর (১৬১২১) উদ্বোধন করা হয়।
ইবি শাখার কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে সক্ষমতা, তা বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য শুধু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা করা হচ্ছে, যা পর্যাপ্ত না। আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক জনবল বাড়িয়ে শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের প্রতারিত করেই যাবে।