ঝিনাইদহে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
চলছে ঢোল, ঢাক আর কাসার ঘন্টার বাজনা। আর বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালদের কসরত। যা দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে শত শত নারী-পুরুষ। যেন প্রতিটা মুহুর্ত করতে হবে উপভোগ । বুধবার দুপুরের পর থেকেই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সদর উপজেলার ঘোরামারা গ্রামে। ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে এ খেলার আয়োজন করে মরমী লোককবি ইদু বিশ্বাস স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ। লাঠিখেলা দেখতে সেখানে ভীড় করে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত দর্শক। খেলাকে ঘিরে পুরো এলাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। নানা রংয়ের পোশাকে সেজে দুপুরের পর থেকেই খেলা শুরু করে লাঠিয়াল সর্দাররা। বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালরা আক্রমণ করেন একে অন্যকে। প্রতিপক্ষের লাঠির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা আর কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মেতে ওঠেন তারা। আর তাতে ঘোরের রাজ্যে ফিরে যান দর্শকরা। আধুনিক প্রযুক্তির দৌরাত্মের মাঝেও এমন আয়োজনে উচ্ছসিত দর্শকরা। উৎসাহ দেন হাততালি দিয়ে। এ ধরনের আয়োজন দেখে খুশি তারা। তাই প্রতিনিয়ত এমন খেলার আয়োজন করার দাবী তাদের।
ঘোড়ামারা গ্রামের মিরাজ মন্ডল বলেন, অনেকদিন আগে বাবার সাথে লাঠিখেলা দেখেছিলাম। আজ এখানে লাঠিখেলা দেখে মনে হচ্ছে যেন ছোটবেলায় ফিরে গেছি। মনমুগ্ধকর এ খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না কত উপভোগযোগ্য।
আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মমিন হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যে এত সুন্দর। লাঠিখেলা দেখলে বোঝা যায়। প্রতিনিয়ত এ ধরনের আয়োজন করার দাবী জানান তিনি।
মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মাঝে নিজের আনন্দ খুজে পান খেলোয়াড়রা। তাইতো কাজ ফেলে খবর পেলেই খেলতে ছুটে যান স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে গ্রামীণ এই ঐতিহ্য ধরে রাখার দাবী তাদের।
সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে সরকারি ভাবে এ ধরনের আয়োজন করা উচিত।
এ ব্যাপারে আয়োজক পোড়াহাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজম মন্ডল বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি, হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলাকে আবারো ফিরিয়ে আনতেই এমন আয়োজন। দিনব্যাপী এ খেলায় ঝিনাইদহের ৬ টি উপজেলা থেকে ১৫ টি লাঠিয়াল দল অংশ গ্রহণ করেন। খেলা শেষে বিজয়ী খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলছে ঢোল, ঢাক আর কাসার ঘন্টার বাজনা। আর বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালদের কসরত। যা দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে শত শত নারী-পুরুষ। যেন প্রতিটা মুহুর্ত করতে হবে উপভোগ । বুধবার দুপুরের পর থেকেই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সদর উপজেলার ঘোরামারা গ্রামে। ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে এ খেলার আয়োজন করে মরমী লোককবি ইদু বিশ্বাস স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ। লাঠিখেলা দেখতে সেখানে ভীড় করে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত দর্শক। খেলাকে ঘিরে পুরো এলাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। নানা রংয়ের পোশাকে সেজে দুপুরের পর থেকেই খেলা শুরু করে লাঠিয়াল সর্দাররা। বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালরা আক্রমণ করেন একে অন্যকে। প্রতিপক্ষের লাঠির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা আর কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মেতে ওঠেন তারা। আর তাতে ঘোরের রাজ্যে ফিরে যান দর্শকরা। আধুনিক প্রযুক্তির দৌরাত্মের মাঝেও এমন আয়োজনে উচ্ছসিত দর্শকরা। উৎসাহ দেন হাততালি দিয়ে। এ ধরনের আয়োজন দেখে খুশি তারা। তাই প্রতিনিয়ত এমন খেলার আয়োজন করার দাবী তাদের।
ঘোড়ামারা গ্রামের মিরাজ মন্ডল বলেন, অনেকদিন আগে বাবার সাথে লাঠিখেলা দেখেছিলাম। আজ এখানে লাঠিখেলা দেখে মনে হচ্ছে যেন ছোটবেলায় ফিরে গেছি। মনমুগ্ধকর এ খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না কত উপভোগযোগ্য।
আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মমিন হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যে এত সুন্দর। লাঠিখেলা দেখলে বোঝা যায়। প্রতিনিয়ত এ ধরনের আয়োজন করার দাবী জানান তিনি।
মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মাঝে নিজের আনন্দ খুজে পান খেলোয়াড়রা। তাইতো কাজ ফেলে খবর পেলেই খেলতে ছুটে যান স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে গ্রামীণ এই ঐতিহ্য ধরে রাখার দাবী তাদের।
সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে সরকারি ভাবে এ ধরনের আয়োজন করা উচিত।
এ ব্যাপারে আয়োজক পোড়াহাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজম মন্ডল বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি, হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলাকে আবারো ফিরিয়ে আনতেই এমন আয়োজন। দিনব্যাপী এ খেলায় ঝিনাইদহের ৬ টি উপজেলা থেকে ১৫ টি লাঠিয়াল দল অংশ গ্রহণ করেন। খেলা শেষে বিজয়ী খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
No comments