বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদের শখ রাস্তার ধারে তাল গাছ রোপন, ১৪ বছরে রোপন করেছেন ১৫ হাজার
বাবুল আক্তার, কালীগঞ্জ॥
বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে প্রায় ১৫ হাজার তালের বীজ বোপন করেছেন বৃক্ষ প্রেমিক এক কৃষক। ১৫ বছর ধরে উপজেলার ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে তালের বীজ বোপন করে আসছেন। মৌসুম ভিত্তিক এই তালের বীজ বোপন করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের মৃতঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের ছেলে বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ ম-ল। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তাল বীজ এলাকার সড়কের পাশে বোপন করেছেন। এছাড়া এলাকায় বিভিন্ন সংযোগ সড়কের মোড়ে আরো ১০টি বট বৃক্ষ রোপন করেছেন তিনি।
কৃষক আব্দুল মজিদ ম-ল জানান, ১৪ বছর আগে ২০০৫ সালের কথা। হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ডের কান্ট্রি ড্রাইরেক্টর আতাউর রহমান মিটন কৃষি বিষয়ক একটা সেমিনারে গাছ লাগানোর বিষয়ে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। সেই থেকে বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষার কথা ভেবে মৌসুমি ফল তালগাছের আটি (বীজ) রোপনের কাজ শুরু করি। গোবাদী পশু তাল গাছের চারার পাতা খেলেও বা অযতœ অবহেলার পরও গাছ বেঁচে যায়। সড়কের পাশে তালগাছ লাগালে অন্য ফসলের ক্ষতি হয় না। কারণ, এর ডালপালা ছড়ায় না। মাথা উঁচু করে সারিবদ্ধ তালগাছ রাস্তার শোভাবর্ধন করে। তালগাছের কিছুই ফেলনা নয়। কাঠ, জ্বালানি, খুটি, নৌযানসহ নানা কাজে তাল গাছ ব্যবহার হয়। তালপাতার পাখা প্রশান্তির প্রয়োজন মেটায় এবং কিংবদন্তি ঐতিহ্য বহন করে। অন্যরকম শিল্পি বাবুই পাখি তাল গাছের পাতায় শৈল্পিক ও নান্দনিক চেতনায় দৃষ্টিনন্দন বাসা বেধে মানুষকুলকে আজো সৃষ্টি রহস্যে আটকিয়ে রেখেছে। তালের রসের চাহিদা মানুষের মধ্যে অপরিশীম। তালের রসের গুড় এবং গুড়ের তৈরি পিঠা সামগ্রী খুবই সুস্বাদু। তালের আটির (বীজ) ভিতরের শ্বাসও সুস্বাদু খাবার। তালগাছের জীবনকাল অধিক। দীর্ঘ জীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই মেসৈুমী ফল দেয়। তাল ফলের রকমারী পিঠা সামগ্রী প্রায় সকল মাসুষকেই আকৃষ্ট করে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই কোন না কোন রাস্তার ধারে তালে বীজ বোপন করে থাকি। শুধু নিয়ামতপুর ইউনিয়নের এপর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তালের বীজ বোপন করা হয়েছে। তিনি ক্ষোভ করে বলেন, বীজ বোপনের পরে অনেকে এই তালের আটি তুলে ভিতরের স্বাস খায়। সে কারণে অনেক সময় রাতে এই তালের বীজ বোপন করি করে থাকি।
২০০৫ সালে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তাল বীজ বোপন করেছেন। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে আরো ১০টি বট বৃক্ষ রোপন করেছেন। প্রতি বছরই কিছু কিছু তালের বীজ সড়কের পাশে বোপন করেন বলে তিনি জানান ।
নিয়ামতপুর ইউনিয়ন এলাকার নুড়িতলা-মহেশ্বরচাঁদা, কুলবাগান-বসিদের বাড়ি , চাপরাইল হাইস্কুল-খুড়ার বাজার, সস্মলিত মোস্তবাপুর হাইস্কুল-দাপনার রাস্তা, নরেন্দ্রপুর-ঘোষনগর (মাইটিভি সড়ক), ঘোষনগর স্কুল-নিয়ামতপুর ও নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদ-নুড়িতলা সড়কসহ ইউনিয়নের প্রধান সড়কের পাশে বোপন করা হয়েছে বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদের তালের বীজ। তিনি নিজে নিজ গ্রাম ও পার্শ্বকর্তী গ্রামগুলোতে ঘুরে ঘুরে তালের বীজ সংগ্রহ করেন। এছাড়াও এলাকার ছোট ছোট ছেলেদের নিকট থেকে ২/৩টাকা দরে এসব তালের আঁটি ক্রয় করে থাকেন। বীজ জোগাড় ও লাগাতে খরচ নিয়ে তিনি কখনো ভাবেননি। অত্র এলাকার সব মাটি ও পরিবেশে তালগাছ হতে পারে। শত আঘাতেও হেলে দুলে অযতেœ অবহেলায় তাল গাছ এক পর্যায়ে মাথা উচু করে দাড়ায় বলে মনে করেন বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ। তিনি নিয়মিত ঘুরে ঘুরে গাছ ও বপনকৃত এলাকা পরিদর্শন এবং পরিচর্যা করেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইউনিয়নের বাকী রাস্তা গুলি তালগাছ লাগানোর ইচ্ছা বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদের।
৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কার বলেন, তিনি একজন ভাল মনের মানুষ। তিনি প্রতি বছর নিজের পকেটের টাকা দিয়ে তালের আঁটি ক্রয় করে থাকেন। এলাকায় প্রতি বছরই কোন না কোন রাস্তার পাশে এসব তালের বীজ বোপন করেন। বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ সর্বসাধারণের জন্যই মহান এ কাজ করেন।
বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে প্রায় ১৫ হাজার তালের বীজ বোপন করেছেন বৃক্ষ প্রেমিক এক কৃষক। ১৫ বছর ধরে উপজেলার ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে তালের বীজ বোপন করে আসছেন। মৌসুম ভিত্তিক এই তালের বীজ বোপন করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের মৃতঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের ছেলে বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ ম-ল। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তাল বীজ এলাকার সড়কের পাশে বোপন করেছেন। এছাড়া এলাকায় বিভিন্ন সংযোগ সড়কের মোড়ে আরো ১০টি বট বৃক্ষ রোপন করেছেন তিনি।
কৃষক আব্দুল মজিদ ম-ল জানান, ১৪ বছর আগে ২০০৫ সালের কথা। হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ডের কান্ট্রি ড্রাইরেক্টর আতাউর রহমান মিটন কৃষি বিষয়ক একটা সেমিনারে গাছ লাগানোর বিষয়ে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। সেই থেকে বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষার কথা ভেবে মৌসুমি ফল তালগাছের আটি (বীজ) রোপনের কাজ শুরু করি। গোবাদী পশু তাল গাছের চারার পাতা খেলেও বা অযতœ অবহেলার পরও গাছ বেঁচে যায়। সড়কের পাশে তালগাছ লাগালে অন্য ফসলের ক্ষতি হয় না। কারণ, এর ডালপালা ছড়ায় না। মাথা উঁচু করে সারিবদ্ধ তালগাছ রাস্তার শোভাবর্ধন করে। তালগাছের কিছুই ফেলনা নয়। কাঠ, জ্বালানি, খুটি, নৌযানসহ নানা কাজে তাল গাছ ব্যবহার হয়। তালপাতার পাখা প্রশান্তির প্রয়োজন মেটায় এবং কিংবদন্তি ঐতিহ্য বহন করে। অন্যরকম শিল্পি বাবুই পাখি তাল গাছের পাতায় শৈল্পিক ও নান্দনিক চেতনায় দৃষ্টিনন্দন বাসা বেধে মানুষকুলকে আজো সৃষ্টি রহস্যে আটকিয়ে রেখেছে। তালের রসের চাহিদা মানুষের মধ্যে অপরিশীম। তালের রসের গুড় এবং গুড়ের তৈরি পিঠা সামগ্রী খুবই সুস্বাদু। তালের আটির (বীজ) ভিতরের শ্বাসও সুস্বাদু খাবার। তালগাছের জীবনকাল অধিক। দীর্ঘ জীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই মেসৈুমী ফল দেয়। তাল ফলের রকমারী পিঠা সামগ্রী প্রায় সকল মাসুষকেই আকৃষ্ট করে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই কোন না কোন রাস্তার ধারে তালে বীজ বোপন করে থাকি। শুধু নিয়ামতপুর ইউনিয়নের এপর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তালের বীজ বোপন করা হয়েছে। তিনি ক্ষোভ করে বলেন, বীজ বোপনের পরে অনেকে এই তালের আটি তুলে ভিতরের স্বাস খায়। সে কারণে অনেক সময় রাতে এই তালের বীজ বোপন করি করে থাকি।
২০০৫ সালে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার তাল বীজ বোপন করেছেন। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে আরো ১০টি বট বৃক্ষ রোপন করেছেন। প্রতি বছরই কিছু কিছু তালের বীজ সড়কের পাশে বোপন করেন বলে তিনি জানান ।
নিয়ামতপুর ইউনিয়ন এলাকার নুড়িতলা-মহেশ্বরচাঁদা, কুলবাগান-বসিদের বাড়ি , চাপরাইল হাইস্কুল-খুড়ার বাজার, সস্মলিত মোস্তবাপুর হাইস্কুল-দাপনার রাস্তা, নরেন্দ্রপুর-ঘোষনগর (মাইটিভি সড়ক), ঘোষনগর স্কুল-নিয়ামতপুর ও নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদ-নুড়িতলা সড়কসহ ইউনিয়নের প্রধান সড়কের পাশে বোপন করা হয়েছে বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদের তালের বীজ। তিনি নিজে নিজ গ্রাম ও পার্শ্বকর্তী গ্রামগুলোতে ঘুরে ঘুরে তালের বীজ সংগ্রহ করেন। এছাড়াও এলাকার ছোট ছোট ছেলেদের নিকট থেকে ২/৩টাকা দরে এসব তালের আঁটি ক্রয় করে থাকেন। বীজ জোগাড় ও লাগাতে খরচ নিয়ে তিনি কখনো ভাবেননি। অত্র এলাকার সব মাটি ও পরিবেশে তালগাছ হতে পারে। শত আঘাতেও হেলে দুলে অযতেœ অবহেলায় তাল গাছ এক পর্যায়ে মাথা উচু করে দাড়ায় বলে মনে করেন বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ। তিনি নিয়মিত ঘুরে ঘুরে গাছ ও বপনকৃত এলাকা পরিদর্শন এবং পরিচর্যা করেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইউনিয়নের বাকী রাস্তা গুলি তালগাছ লাগানোর ইচ্ছা বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদের।
৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কার বলেন, তিনি একজন ভাল মনের মানুষ। তিনি প্রতি বছর নিজের পকেটের টাকা দিয়ে তালের আঁটি ক্রয় করে থাকেন। এলাকায় প্রতি বছরই কোন না কোন রাস্তার পাশে এসব তালের বীজ বোপন করেন। বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল মজিদ সর্বসাধারণের জন্যই মহান এ কাজ করেন।
No comments