প্রাকৃতিক ভূস্বর্গ কাপ্তাই লেকে একদিন
তরিকুল ইসলাম, ইবিঃ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বাংলার প্রান্ত থেকে প্রান্ত যেন সবুজ শ্যামলীমায় ঘেরা ৷ আর পাহাড় পর্বতে ঘেরা হলে সৌন্দর্যের অন্ত যেন আরও অফুরন্ত , এই অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক জলন্ত পর্যটন কেন্দ্র কাপ্তাই লেক ৷ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় সাড়ে এগার হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এই লেকের সৌন্দর্য বিস্তৃতি ৷ আর এই কাপ্তাই লেকের মূল সৌন্দর্য বিচ্ছুরিত হয় সুবলং ঝর্ণা কে ঘিরে৷
দিনটি ছিল ৪ অক্টোবর, ২০১৫ ইং ৷ সরকারি বিজ্ঞান কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখন ৷ অক্টোবরের দুই তারিখ রাতে রওয়ানা দিয়ে পরের দিন খাগড়াছড়ি , এবং খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক ৷ তিন অক্টোবর রাত কাটে সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়ায় ৷ পরের দিন চার অক্টোবর সকালে হ্যালি প্যাডে মেঘ দেখে কংলাক পাহাড়ে যাই৷ কংলাক পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরে আসি ৷ তখন দুপুর দেড়টা, খাগড়াছড়ি শহর থেকে রিজার্ভ করা বাসে করে রওয়ানা দিলাম রাঙ্গামাটি শহরের দিকে৷ প্রায় তিনটার দিকে আমরা রাঙ্গামাটি শহরে পৌঁছাই৷
আজকের প্রধান গন্তব্য কাপ্তাই লেকের সুবলং ঝর্ণা ৷ শহর থেকে কাপ্তাই জেঠিঘাট বা লন্ঞ্চঘাটে গিয়ে আমাদের রিজার্ভ করা ট্রলারে উঠি ৷ ট্রলারেই দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছিল ৷ খাবার খেতে খেতে আমরা চলতে লাগলাম কাপ্তাই লেকের বুক চিড়ে সুবলং ঝর্ণার দিকে ৷
কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে । এই লেকের উপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ৷ লেকের দুই ধারই পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা। ট্রলার ভাড়া করে লেকে ভ্রমণ করা যায়। ট্রলারে করে যাওয়া যায় সুবলং ঝর্ণা বা জলপ্রপাতে ৷ লেকের পাড়ে রয়েছে নতুন চাকমা রাজবাড়ি ও বৌদ্ধ মন্দির। পুরাতন চাকমা রাজবাড়ি কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের সময় লেকে তলিয়ে যায়। রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত, যা পূণার্থী এবং দর্শনার্থীদের অন্যতম আর্কষনীয় ৷ সুবলং ঝর্ণার যাওয়ার পথে এসবের দেখা মিলবে৷ অবলোকন করা যাবে উপজাতি ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এসব তীর্থভূমির অপার সৌন্দর্য ৷
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমরা ঝর্ণায় পৌঁছাই৷ জনপ্রতি পনের টাকা টিকেট কেটে ট্রলার থেকে ঝর্ণায় প্রবেশ করতে হয় ৷ সুবলং ঝর্ণায় কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা সন্ধ্যায় পুনরায় লেকের ঘাটের ফিরে আসতে লাগালাম ৷ ট্রলারের ছাদে বসে সবাই গান আবৃত্তি শুনলাম ৷ কয়েকজন গান করলেন মধুর সুরে , কৌতুক করলেন ৷ লেকের বুকে সে ছিল অন্যরকম বিনোদন ৷ আমাদের ঢাকায় ফেরার জন্য শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস আগে থেকেই রিজার্ভ করা ছিল৷
লন্ঞ্চঘাটে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হল , সাথে হালকা শীতেরও ইমেজ ছিল ঐ এলাকায় ৷ রাত দশটার দিকে রাঙ্গামাটি ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা হলাম ৷ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ায় রাতের খাবারের অর্ডার করা ছিল৷ রাত তখন বারটা, খাবারের জন্য বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের ব্যবস্থা ছিল৷ রাতের খাবার ও নামাজ শেষে আমরা ঢাকার পথে রওয়ানা দিলাম৷ পাঁচ অক্টোবর সকালে ঢাকায় পৌঁছে আমাদের ট্যুর শেষ করি ৷ জীবনের প্রথম লং জার্নি ছিল এটি ৷ সেটিও আবার পাহাড়ী দেশে৷ পাহাড়, ঝর্ণা আর লেক ভ্রমণের স্মৃতিটা তাই ভুলবার নয় ৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বাংলার প্রান্ত থেকে প্রান্ত যেন সবুজ শ্যামলীমায় ঘেরা ৷ আর পাহাড় পর্বতে ঘেরা হলে সৌন্দর্যের অন্ত যেন আরও অফুরন্ত , এই অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক জলন্ত পর্যটন কেন্দ্র কাপ্তাই লেক ৷ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় সাড়ে এগার হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এই লেকের সৌন্দর্য বিস্তৃতি ৷ আর এই কাপ্তাই লেকের মূল সৌন্দর্য বিচ্ছুরিত হয় সুবলং ঝর্ণা কে ঘিরে৷
দিনটি ছিল ৪ অক্টোবর, ২০১৫ ইং ৷ সরকারি বিজ্ঞান কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখন ৷ অক্টোবরের দুই তারিখ রাতে রওয়ানা দিয়ে পরের দিন খাগড়াছড়ি , এবং খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক ৷ তিন অক্টোবর রাত কাটে সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়ায় ৷ পরের দিন চার অক্টোবর সকালে হ্যালি প্যাডে মেঘ দেখে কংলাক পাহাড়ে যাই৷ কংলাক পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরে আসি ৷ তখন দুপুর দেড়টা, খাগড়াছড়ি শহর থেকে রিজার্ভ করা বাসে করে রওয়ানা দিলাম রাঙ্গামাটি শহরের দিকে৷ প্রায় তিনটার দিকে আমরা রাঙ্গামাটি শহরে পৌঁছাই৷
আজকের প্রধান গন্তব্য কাপ্তাই লেকের সুবলং ঝর্ণা ৷ শহর থেকে কাপ্তাই জেঠিঘাট বা লন্ঞ্চঘাটে গিয়ে আমাদের রিজার্ভ করা ট্রলারে উঠি ৷ ট্রলারেই দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছিল ৷ খাবার খেতে খেতে আমরা চলতে লাগলাম কাপ্তাই লেকের বুক চিড়ে সুবলং ঝর্ণার দিকে ৷
কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে । এই লেকের উপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ৷ লেকের দুই ধারই পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা। ট্রলার ভাড়া করে লেকে ভ্রমণ করা যায়। ট্রলারে করে যাওয়া যায় সুবলং ঝর্ণা বা জলপ্রপাতে ৷ লেকের পাড়ে রয়েছে নতুন চাকমা রাজবাড়ি ও বৌদ্ধ মন্দির। পুরাতন চাকমা রাজবাড়ি কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের সময় লেকে তলিয়ে যায়। রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত, যা পূণার্থী এবং দর্শনার্থীদের অন্যতম আর্কষনীয় ৷ সুবলং ঝর্ণার যাওয়ার পথে এসবের দেখা মিলবে৷ অবলোকন করা যাবে উপজাতি ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এসব তীর্থভূমির অপার সৌন্দর্য ৷
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমরা ঝর্ণায় পৌঁছাই৷ জনপ্রতি পনের টাকা টিকেট কেটে ট্রলার থেকে ঝর্ণায় প্রবেশ করতে হয় ৷ সুবলং ঝর্ণায় কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা সন্ধ্যায় পুনরায় লেকের ঘাটের ফিরে আসতে লাগালাম ৷ ট্রলারের ছাদে বসে সবাই গান আবৃত্তি শুনলাম ৷ কয়েকজন গান করলেন মধুর সুরে , কৌতুক করলেন ৷ লেকের বুকে সে ছিল অন্যরকম বিনোদন ৷ আমাদের ঢাকায় ফেরার জন্য শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস আগে থেকেই রিজার্ভ করা ছিল৷
লন্ঞ্চঘাটে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হল , সাথে হালকা শীতেরও ইমেজ ছিল ঐ এলাকায় ৷ রাত দশটার দিকে রাঙ্গামাটি ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা হলাম ৷ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ায় রাতের খাবারের অর্ডার করা ছিল৷ রাত তখন বারটা, খাবারের জন্য বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের ব্যবস্থা ছিল৷ রাতের খাবার ও নামাজ শেষে আমরা ঢাকার পথে রওয়ানা দিলাম৷ পাঁচ অক্টোবর সকালে ঢাকায় পৌঁছে আমাদের ট্যুর শেষ করি ৷ জীবনের প্রথম লং জার্নি ছিল এটি ৷ সেটিও আবার পাহাড়ী দেশে৷ পাহাড়, ঝর্ণা আর লেক ভ্রমণের স্মৃতিটা তাই ভুলবার নয় ৷
No comments