কালীগঞ্জে কৃষকদের সোনালী আঁশ এখন গলার ফাঁস ॥ পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় লোকসানের শঙ্কায়
এম, শাহজাহান আলী সাজু ॥
ধানের দামে মার খাওয়ার পর, পাটের ফলন ভালো দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষীরা। তবে সে আশায়ও গুড়ে বালি হয়েছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কৃষকরা। জীবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ধানের দাম নিয়ে বড় সংকটের পর কৃষকের মুখে হাসি এনে দিয়েছিলো সোনালী আঁশ পাটের ভালো ফলন। উর্বর মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কালীগঞ্জ এলাকায় বা¤পার ফলন হয়েছে পাটের। তবে কর্ষার ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারনে নদী, খাল, বিল বা পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। উপায় না পেয়ে সরকারী, পারিবারিক বিভিন্ন গর্ত, খাল বা জলাশয়ে সেঁচ দিয়ে পানি ভরাট করে পাট জাগের ব্যবস্থা করছেন অনেকে। আবার দূরে কোথাও নিতে গিয়েও বাড়ছে খরচ। জাগ দিতে দেরি হওয়ায় কারো কারো পাট শুকিয়ে গেছে। অল্প পানিতে জাগ দেয়ায় ভালো হচ্ছে না পাটের রং ও গুণগত মান। যার প্রভাব পড়ছে দামেও।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৩’শত ৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩’শত ৪০ হেক্টর জমিতে। পাট চাষে লক্ষমাত্রা অতিক্রম করলেও এখন পাট কাটা মৌসুমে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
উপজেলার ভাতঘারা গ্রামের কৃষক জামিনুর রশিদ জানান, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে পাটের আবাদ করে আসছেন তিনি। এ মৌসুমে পাটের আবাদ করে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, এলাকায় পাট জাগ দেয়ার জায়গার ভীষণ সংকট। এখন পুকুরেও পানি নেই। পুকুরে পাট জাগ দিয়ে স্যালো মেশিন চালিয়ে প্রতিদিন পুকুরে পানি ভরতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে পর্যাপ্ত পানি না হওয়া পানির কালো হয়ে যাচ্ছে। ফলে পাটের রঙও খারাপ হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে দামেও।
একই গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা ছিল না। সময়টা এমন যে, ধান এবং পাটের জন্য পানি দরকার। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কৃষকের উপকার হয়। সে অবস্থা এবার নেই। যার কারণে এবার পাটের বা¤পার ফলন হলেও পানির অভাবে পাটের রং ও গুণগত মান ভাল না হওয়ায় কৃষকরা পাটে দাম ভালো পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ভাল পাটের দাম এখন ১ হাজার ৮’শত থেকে ২ হাজার টাকা। আর পাটের রং ও গুণগত মান খারাপ হওয়ায় আমরা পাচ্ছি ১ হাজার ৪’শত থেকে ১ হাজার ৫’শত টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ জাহিদুল করিম জানান, পানি সমস্যার কারণে আমরা পাট চাষীদেরকে কাঁচা পাট চিকিয়ে সাল (জীবন রেটিং পদ্ধতিতে) জাগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে পানি কম লাগে, এবং অল্পদিনে পাটের জাগ আসে। তবে, কৃষকরা এই কাঁচা পাট চিকানো ঝামেলা মনে করেন। তাছাড়া ভাদ্র মাসে পানি না হওয়ার ফলে কৃষকরা এ সমস্যায় পড়ছে তিনি জানান।
ধানের দামে মার খাওয়ার পর, পাটের ফলন ভালো দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষীরা। তবে সে আশায়ও গুড়ে বালি হয়েছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কৃষকরা। জীবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ধানের দাম নিয়ে বড় সংকটের পর কৃষকের মুখে হাসি এনে দিয়েছিলো সোনালী আঁশ পাটের ভালো ফলন। উর্বর মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কালীগঞ্জ এলাকায় বা¤পার ফলন হয়েছে পাটের। তবে কর্ষার ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারনে নদী, খাল, বিল বা পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। উপায় না পেয়ে সরকারী, পারিবারিক বিভিন্ন গর্ত, খাল বা জলাশয়ে সেঁচ দিয়ে পানি ভরাট করে পাট জাগের ব্যবস্থা করছেন অনেকে। আবার দূরে কোথাও নিতে গিয়েও বাড়ছে খরচ। জাগ দিতে দেরি হওয়ায় কারো কারো পাট শুকিয়ে গেছে। অল্প পানিতে জাগ দেয়ায় ভালো হচ্ছে না পাটের রং ও গুণগত মান। যার প্রভাব পড়ছে দামেও।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৩’শত ৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩’শত ৪০ হেক্টর জমিতে। পাট চাষে লক্ষমাত্রা অতিক্রম করলেও এখন পাট কাটা মৌসুমে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
উপজেলার ভাতঘারা গ্রামের কৃষক জামিনুর রশিদ জানান, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে পাটের আবাদ করে আসছেন তিনি। এ মৌসুমে পাটের আবাদ করে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, এলাকায় পাট জাগ দেয়ার জায়গার ভীষণ সংকট। এখন পুকুরেও পানি নেই। পুকুরে পাট জাগ দিয়ে স্যালো মেশিন চালিয়ে প্রতিদিন পুকুরে পানি ভরতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে পর্যাপ্ত পানি না হওয়া পানির কালো হয়ে যাচ্ছে। ফলে পাটের রঙও খারাপ হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে দামেও।
একই গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা ছিল না। সময়টা এমন যে, ধান এবং পাটের জন্য পানি দরকার। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কৃষকের উপকার হয়। সে অবস্থা এবার নেই। যার কারণে এবার পাটের বা¤পার ফলন হলেও পানির অভাবে পাটের রং ও গুণগত মান ভাল না হওয়ায় কৃষকরা পাটে দাম ভালো পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ভাল পাটের দাম এখন ১ হাজার ৮’শত থেকে ২ হাজার টাকা। আর পাটের রং ও গুণগত মান খারাপ হওয়ায় আমরা পাচ্ছি ১ হাজার ৪’শত থেকে ১ হাজার ৫’শত টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ জাহিদুল করিম জানান, পানি সমস্যার কারণে আমরা পাট চাষীদেরকে কাঁচা পাট চিকিয়ে সাল (জীবন রেটিং পদ্ধতিতে) জাগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে পানি কম লাগে, এবং অল্পদিনে পাটের জাগ আসে। তবে, কৃষকরা এই কাঁচা পাট চিকানো ঝামেলা মনে করেন। তাছাড়া ভাদ্র মাসে পানি না হওয়ার ফলে কৃষকরা এ সমস্যায় পড়ছে তিনি জানান।
No comments