কৃষির জন্য একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি জমিতে পাঁকা ভবন নির্মান চলছে, বাজারের দোকান-পাট বৃদ্ধি হলে সমস্যায় পড়বে স্থানিয়রা।।

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি ৪২ শতক জমি চাষ কাজে ব্যবহারের জন্য একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে পাঁকা ভবন নির্মান করছেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও আলমগীর হোসেন নামের দুই ভাই। বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ইতিমধ্যে ভবন নির্মান সম্পন্ন করেছেন। ছোট ভাই আলমগীর হোসেন এর ভবন নির্মান কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই অবস্থা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বাজারের ইউনিয়ন ভুমি অফিস এর আনুমানিক ৫০ গজের মধ্যে।
অবশ্য স্থানিয় ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এভাবে চাষের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে ভবন নির্মান করা যায় না। তাছাড়া এটা একসনা বন্দোবস্ত, সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় বন্দোবস্ত বাতিল করতে পারেন। কর্মকর্তারা আরো বলছেন ইতিমধ্যে তারা ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরও লুকিয়ে কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফতেপুর বাজারপাড়ার ফতেপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কাছে ৪৮ শতক সরকারি খাস জমি রয়েছে। এই জমি বেশ কিছুদিন থেকেই একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে দখলে রেখেছেন স্থানিয় ফতেপুর বাজারপাড়ার বাসিন্দা দোলা মিয়ার দুই সন্তান জাহাঙ্গীর হোসেন ও আলমগীর হোসেন। তারা ওই জমির কিছু অংশে ফলজ গাছ আর কিছু অংশে মাটির ঘর করে বসবাস করতেন। ৫ বছর হলো জায়গাটির পূর্ব পাশে বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন একটি একতলা ছাদের বাড়ি করেছেন। সেখানে তিনি বসবাস করেন। আর এক সপ্তাহ হলো ছোট ভাই আলমগীর হোসেন পশ্চিম পাশে একটি ফ্লাট বাড়ি নির্মান শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে লিন্টন পর্যন্ত নির্মান শেষ হয়েছে। দ্রæত গতিতে নির্মান কাজ এগিয়ে চলেছে। ৬ শতক জমির উপর তিনি এই পাঁকা ঘর করছেন।
স্থানিয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, এটা বাজারের পাশের জায়গা। তাছাড়া ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের আনুমানিক ৫০ গজের মধ্যে সরকারি জায়গা দখল চলছে। তারপরও ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের সঠিক পদক্ষেপ নেই। নাম প্রকাশ না করে স্থানিয় এক বাসিন্দা জানান, ভুমি অফিসের পাশে সরকারি জায়গা দখল করে এভাবে ভবন হচ্ছে, অথচ ভুমি কর্মকর্তাদের তেমন কোনো ভুমিকা নেই। তারা একটি চিঠি দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। এতে ধারনা হয় ভবন নির্মানে উভয়ের মধ্যে কোনো যোগসুত্র রয়েছে।
স্থানিয় ইউপি সদস্য আসাদুল ইসলাম জানান, তারা এই ভবন নির্মান করতে দেখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেছেন। এই স্থানে ভবন নির্মান হলে আগামী দিনে বাজারের অনেক সমস্যা হবে। তাই এটা বন্ধ হওয়া জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার বসু জানান, তারা এটা দেখার পরই কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তারা কৃষি কাজে ব্যবহারের কথা বলে এই জমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়েছেন। সেখানে পাঁকা ভবন করতে পারেন না। এ জন্য তাদের নিশেধ করা হয়েছে। এরপরও ভবন নির্মান করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বড় ভাই কিভাবে ভবন করেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বেশ কয়েক বছর পূর্বের ঘটনা। তখন এই অফিসে অন্য কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন।
ভবন নির্মানকারী আলমগীর হোসেন জানান, তার থাকার মতো কোনো জায়গা নেই। তাছাড়া তার স্ত্রী অসুস্থ। মাটির ঘরে থাকা তার পক্ষে কষ্টকর। যে কারনে পাঁকা ঘর নির্মান করছেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে  তাকে ঐ ঘর নির্মা কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, তিনিও বন্ধ রেখেছেন। অবশ্য এখনও কাজ চলছে বললে তিনি বলেন এটা ঠিক নয়।



No comments

Powered by Blogger.