ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চাওয়ায় ‘জঙ্গী’ তকমা পেলো ইবি শিক্ষার্থীরা

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫ বিভাগের শিক্ষাথীদের জঙ্গি তকমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট অনুষদীয় কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি নথি হাতে আসায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীদেরা। এক দিনের মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বুধবার থেকে মানববন্ধনসহ লাগাতার আন্দোলনে নামবে তারা।
জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীন ৫টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনে নামে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আমারণ অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এত কিছুর পরও দাবি না মানায় ওই দিন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ডিন অফিসে দুই কর্মচারী আটকা পড়েন। পরে রাত নয়টার দিকে ডিন প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম তাদের মুক্ত করতে আসলে তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গ্রেফতার অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন। সেদিন ভোর ৪টার দিকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা ঘোষনা করা হয়। পরে দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে প্রশাসন। পরবর্তীতে গত ২৯ প্রপ্রিল অনুষদীয় জরুরী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী বলে অক্ষাহিত করা হয়।
এদিকে ঘটনার লিখিত কপি শিক্ষার্থীদের হাতে আসলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা। ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমানের কাছে দাবি জানায়। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলামের কাছে যায়। তিনিও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা অনুষদীয় সভার লিখিত সিদ্ধান্ত দেখালে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি। আর কিছু জানি না।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। আমরা কোন সমাজ বিরোধী কাজে যুক্ত নই। তবুও আমাদের ওপর এমন অপবাদ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমাদের দাবি না মানা হলে কাল থেকে আমরা আন্দোলনে যাবো।’
এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইখতেয়ার নেই। এ বিষয়ে বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের উপর সিদ্ধান্তের বিষয়টি বর্তায়। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।’

No comments

Powered by Blogger.