ঝিনাইদহর মহেশপুরের মরহুম শামসুল হুদা ছিলেন শিক্ষার প্রদীপ জ্বালানোর উজ্জল নক্ষত্র

তরিকুল ইসলাম :
মরহুম শামসুল হুদা ( ০১/০৯/১৯৪৫ — ০৬/০১/২০০৩ইং)
® সাবেক প্রধান শিক্ষক , ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
® সাবেক চেয়ারম্যান , ১০ নং নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদ , মহেশপুর, ঝিনাইদহ
মহাবিশ্ব আর সৃষ্টি জগতের কথা চিন্তা করলে স্রস্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা আবশ্যক ৷ স্বাধীন বাংলার কথা চিন্তা করলে মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে কথা ভাবার কোন বিকল্প নাই ৷ ঠিক তেমনি ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কথা চিন্তা করলে মরহুম শামসুল হুদা স্যারের কথা স্মরণ করা অপরিহার্য ৷ ইদ্রাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে চাইলে মরহুম শামসুল হুদাকে বাদ দিয়ে পর্যালোচনার কোন সুযোগ নাই ৷ যার হাতে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে জুনিয়র হাই স্কুল থেকে পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছাপড়া দেওয়া ঘর থেকে পাকা ভবন , বিজ্ঞান ভবন ৷ যার স্মৃতির সাক্ষী বিদ্যালয়ের সামনে ও পেছনে বেড়ে ওঠা বিশাল বিশাল মেহগনি গাছগুলি ৷ যার হাত ধরেই বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ হয়েছিল ৩ একর ১১ শতক ৷ এই ভূমিও কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে চিরদিন , এই শান্ত ও গম্ভীর প্রকতির কালো মানুষটির, যার অন্তর ছিল মহানুভবতায় পূর্ণ আর হৃদয় ছিল সাদা৷
মরহুম শামসু হুদা ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৪৫ ইং সালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে যশোর জেলার বনগাঁ মহকুমার মহেশপুর থানধীন জাগুসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তাঁর পিতার নাম হযরত আলী মোল্লা ৷ তিনি নারায়নপুর বাহাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন ১৯৫৯ সালে ৷ এখানে অধ্যয়নের সময় এক বাড়িতে লজিং থাকতেন , এ বাড়িতে ঘানি (তেল) ভাঙানোর কাজ করতেন ৷ এরপর ভর্তি হন এম এম কলেজে এবং ১৯৬১ সালে এফ এ ( বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক ) পাশ করেন ৷ ১৯৬৫ সালে এই কলেজ থেকেই বি. এ ডিগ্রি নেন ৷ এরপর নিজ গ্রামে ফিরে এসে হাবাশপুর জুনিয়র হাই স্কুল ( পরবর্তীতে যা মান্দারতলা স্থানান্তরিত হয়) এ শিক্ষকতা শুরু করেন ৷ এখানে তখন শিক্ষক ছিলেন সাত জন৷
১৯৬৭ সাল, শিক্ষকতার প্রথম জীবনে অনেক পরিশ্রম করে ছাত্র সংগ্রহ করেছেন ৷ হাবাশপুর গ্রামের দুপাশে বেতনা নদী ছিল ৷ এই নদীতে তখন বছরের প্রায় নয় মাসই পানি থাকত ৷ তাই ছাত্রদের স্কুলে আসার জন্য স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে দুটি সাকো নির্মাণ করেন ৷ তখনকার দিনে ছাত্রদের লজিং এর ব্যবস্থা করতে হতো ৷ কিন্তু জাগুসা ও হাবাশপুর গ্রাম মিলিয়ে বেশি লজিং এর ব্যবস্থাও হতো না ৷ ফলে ৪০-৪৫ জন ছাত্র একত্র করাই কষ্ট হয়ে পড়ে ৷ আর তিন ক্লাস মিলিয়ে ৭৫ জন ছাত্র দেখাতে না পারলে স্কুলের অনুমোদনের জন্য ভিজিট করানো যেত না ৷ তাই কয়েক জন প্রস্তাব করেন স্কুলটি মান্দারতলা বাজারে নিয়ে যেতে ৷ ওখানে চারিদিকে গ্রাম , রাস্তাঘাট ভাল আর চারিদিকে ছাত্র পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশায়৷

১৯৬৮ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে একটি মিটিং ডাকা হল মরহুম আপিল উদ্দিন মেম্বরের আম বাগানে ৷ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সাজ্জাতুল জুম্মা এর চাচা জনাব মোঃ আশফাকুর রহমান (ছানা মিয়া)৷ ঐ দিন সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের আবুল হোসেন বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম,রিয়াজ উদ্দিন,ইরশাদ আলী, গয়েশপুরের রমজান মিয়া, হাশেম দেওয়ান, কোলাদ আলী, আলীপুরের সিরাজ মেম্বর, জিন্নাত আলী ব্যাপারী, জরীপ হোসেন, খড়োমান্দারতলার আব্দুল জলিল মোল্লা, আমিন উদ্দিন মুন্সি, উকিল উদ্দীন, রহিম ব্যাপারী, জাগুসার রহিম সর্দার, শামসুল হুদা , ধোপাতলার এলাহী বক্স কবিরাজ সহ মান্দারতলা গ্রামবাসী ৷ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৬৯ সালের ১জানুয়ারী মিলাদের মাধ্যমে স্কুলে ক্লাস শুরু হয় প্রাইমারি স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনে৷ স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাবাশপুরের ইদ্রিস ডাক্তার, আলীপুরের সিরাজ মেম্বর, কালুপুরের মোবারক মন্ডল, মান্দারতলার আফিল উদ্দিন মেম্বর, ইসহাক ,আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, ঈমান উদ্দীন , খড়োমান্দারতলা আব্দুল জলিল মোল্লা, আমিন উদ্দীন মুন্সি প্রমুখ নানাভাবে কাজ করে গেছেন স্কুলের জন্য৷ তারা সবাই মিলে বছরে দুবার ধান সংগ্রহ করে তা মান্দারতলা বাজারে বিক্রি করতো৷ এভাবে চলতে থাকল স্কুল উন্নতির দিকে৷ এরপর ১৯৭০ সালে জুনিয়র হাইস্কুল ও ১৯৭৬ সালে পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়র স্বীকৃতি নিয়ে আসেন৷ ১৯৭০ সালে স্কুলটি পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহের তৎকালীন SDEO রেজাউল হক ( R Haque) সাহেব ৷
১জানুয়ারী,৬৯ থেকে ৩১অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন মরহুম আব্দুস সোবহান শেখ৷ তিনি চলে যাওয়ার পর মরহুম শামসুল হুদা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান ৷ ১ নভেম্বর, ৬৯ থেকে ৫ জানুয়ারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ৩৩ বছরের অধিক সময় প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি ৷ ৫জানুয়ারী,২০০৩ সালে স্কুলের সামনে থেকে কাঠের উপর দাড়িয়ে সাইকেলে উঠতে গিয়ে পড়ে যান৷ এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে, তৎক্ষনাৎ যশোর সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু স্কুলের অজস্র স্মৃতি , সহকর্মীবৃন্দ, অসংখ্য গুণগ্রাহী আর আত্মীয় স্বজন সবাইকে শোকাহত করে রাত ২টা ২০ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান৷ স্যারের পাঁচজন ছেলের মধ্যে তিনজন গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে কর্মরত আছেন, যাদের মধ্যে সেজে ছেলে মহিউজ সুন্নাহ বাবু বর্তমানে সেনাবাহিনীর কর্ণেল হিসাবে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আছেন ৷ 
মরহুম শামসুল হুদা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভালবাসতেন নিজের সন্তানের মতোই, খোজ খবর রাখতেন আর প্রয়োজনীয় সব সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করতেন৷ তিনি ছিলেন শান্ত , গম্ভীর আর স্বল্পভাষী একজন মানুষ৷ শিক্ষার্থীদের যেমন ভালবাসতেন ঠিক তেমনি শাসন করতেন৷ তাঁর শাসনে কেউবা ভালভাবে পড়ালেখা করত নয়তো স্কুল ছেড়ে পালাত৷ তাঁর রেখে যাওয়া স্মৃতি বিজড়িত প্রতিষ্ঠানটিতে শামসুল হুদা একাডেমিক ভবন নামে একটি ভবন রয়েছে৷ এছাড়া জাগুসা গ্রামের মিয়ার অামতলা সংলগ্ন মাঠে শামসুল হুদা এগ্রো ফার্ম নামে তাঁর সম্তানদের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷
১৯৮৭ সালের দিকে তিনি ১০নং নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন৷ সমাজের নেতৃত্ব দেওয়া, মানুষের কল্যাণে কাজ , শিক্ষার আলো ছড়ানোই ছিল তাঁর নেশা৷ সহকর্মীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সহানুভূতিশীল৷ গোলাম শফিউল বাশার জাহাঙ্গীর নামে একজন শিক্ষক ছিলেন ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত৷ বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে স্যারের নিকট ২০০ টাকা সহ ছুটি চান৷ স্কুল ফান্ডে টাকা না থাকায় নিজের স্ত্রীর একটি রিং চুরি করে বিক্রি করার জন্য জনাব জায়েদ আলী স্যারকে যশোর পাঠান৷ কিন্তু যশোরের স্বপন জুয়েলার্স জোড়া রিং না থাকায় তা ক্রয় করেন নি৷ পরের দিন স্যারের মেজ ছেলে ফয়সালের আকীকা দেবার জন্য ১৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা ছাগলটি একই মূল্যে বিক্রি করেন৷ তারপর নিজের ১৫০ টাকা ও জায়েদ আলী স্যারের বইয়ের ব্যবসা থেকে আয়কৃত অর্থ হতে ৫০ টাকা নিয়ে মোট দুইশত টাকা শৈলকুপার জাহাঙ্গীর সাহেবকে দিয়ে দুদিন আগেই ছুটি মন্জুর করেন৷

শিক্ষকতার জীবনে বেতন পাশ হয় ১৯৭০ সালে৷ তখন বেতন পেতেন মাত্র ২০টাকা৷ ধীরে ধীরে সামান্য বেতন বাড়তে থাকে৷ কিন্তু ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত শুধু সরকারি বেতন ব্যতীত স্কুল থেকে কিছু গ্রহণ করেন নি৷ ১৯৮৫ সালের দিকে এরশাদ সরকারের সময় বেতন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫টাকা হয়৷ এর আগে ১৮০টাকার মত বেতন পেতেন৷ শেষ জীবনে বেতন পেতেন মাত্র ৩০০০ টাকা৷ স্কুলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই মানুষটি সহকর্মীদের নিয়ে রোপন করেছেন অসংখ্য বৃক্ষ যা আজ তাঁর স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷ তিনি শিক্ষার্থীদের ভাল লেখাপড়া শেখানোর জন্য ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য রাতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে দেখতেন সব সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম স্যার মরহুম শামসুল হুদা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন , " তিনি ছিলেন স্বল্পভাষী আর সকলের জন্য মহানুভব একজন মানুষ ৷ ওনার মত হেড স্যার আমি কখনও দেখিনি৷ আমাকে সব সময় ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করতেন ৷ অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমাকে দিয়ে করাতেন আর বলতেন তোমাকে একজন সেরা প্রধান শিক্ষক বানাব এবং নিজে প্রধান শিক্ষকের আসনে বসিয়ে বিদায় নেব৷ কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমার হয় নি ৷ আমি প্রায়ই তাঁকে স্বপ্নে দেখি আর ওনার স্মৃতি স্মরণ করি" ৷
স্যোসাল মিডিয়া ফেইসবুকে গত ২২ তারিখ রাত ১১:৫৯টায় তরিকুল ইসলাম মাসুমের আইডিতে আপলোডের পর অনেক সাবেক ছাত্র আবেগ আপ্লুত মন্তব্য করেন ৷ তাদের মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে স্যারের প্রতি ছাত্রের অগাধ ভালবাসা আর পরিশ্রমী মানুষের জীবনের অকল্পনীয় ইতিহাস ৷
অনেকের মধ্যে স্কুলের প্রথম ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়া এসএসসি'৭৮ ব্যাচের ছাত্র ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (অবঃ) রেজাউল করিম মন্তব্য করেন, "তরিকুল, আমার প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে তোমার লেখাগুলো আমি বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়েছি এবং আপ্লুত হয়ে কমেন্টও করেছি । তিনি শুধু আমার শিক্ষকই ছিলেন না পিতার পরের অভিভাবক ছিলেন ।তোমার লেখা বিভিন্ন বিষয় আমাকে যে পরিমান আন্দোলিত না করেছে তার চেয়ে অনেক গুন বেশী react করেছে মহান মানুষটার ছবিটা । ছবিটার দিকে তাকালেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিনা ।এই দূর্লভ ছবিটা আমি আমার সংগ্রহে রেখেছি এবং তার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছি ।তোমার লেখাটা পূর্ণতা পেয়েছে ছবিটা সংযোজন করাতেই ।সব কিছু মিলিয়ে সেই ১৯৭২ সাল স্যারের ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়ের স্যারের সাথে স্কুলের প্রতিবেশী, স্কুলের ছাত্র, অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাজীবন ও চাকুরি জীবনের সকল স্মৃতি , আদেশ , নির্দেশ , পরামর্শসহ নানান বিষয়ে অন্তরের টান উন্মোচন করে দিয়েছে। তোমার ভাষায় ঐ শান্ত ,গম্ভীর, মোটা ,কাল মানুষটার কাছে আমি ছিলাম খুব আদুরে । আমি স্কুলের প্রথম first division পাওয়া ছাত্র ছিলাম বলে আমাকে নিয়ে তাঁর খুব গর্ভ ছিল । ইদ্রাকপুর হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অন্যান্যদের মত আমিও স্যারের ছোট খাট সহযোদ্ধা ছিলাম ।আমাদের গোটা পরিবার স্যারের নিকট ঋনী। পরকালে স্যারের আত্মার শান্তি কামনা করি সবসময় ।আল্লাহ যেন ঐ ভাল মানুষটাকে বেহেস্ত নসিব করেন ৷"
ইসমাইল হোসেন রতন নামে একজন লেখেন, "উনার মতো শিক্ষক আমার জীবনে আমি হয়তো আর একটা দেখবো না। তবে ছোট বেলায় বুঝিনি স্যার কোন মাপের এখন বুঝি উনি ছিলেন ভয়ানক আদর্শবান শিক্ষক ও একজন আদর্শ অভিভাবক।আল্লাহ স্যার কে জান্নাত দান করুন, আমিন"৷
সালিমুজ্জামান নামের একজন সরকারি কর্মকতা মন্তব্য করেন , " স্যারকে আল্লাহ জান্নাত বাসি করুক ৷ তিনি একজন আদর্শ কৃষকও ছিলেন , ভালোমানের একজন হোমিও ভাক্তার ছিলেন ৷ তিনি কোন কাজে পিছপা হতেন না , সদা সত্য কথা বলতেন এবং জয়কে কি ভাবে ছিনিয়ে আনতে হয় তার কৌশলও স্যার জানতেন ৷স্যালুট স্যার।"
তানভীর আহাম্মেদ তপু লিখেছেন, "স্যারের কথা বিভিন্ন মানুষের কাছে অনেক শুনেছি। অত্যন্ত ভাল মনের মানুষ ছিলেন তিনি।সবার কথা ভাবতেন।
স্যার যখন মারা যান তখন আমি ছোটই ছিলাম।তেমন একটা বুঝতাম না।তবে স্যারের প্রশংসা সবার মুখে মুখে এটা উপলব্ধি করতাম।
ইদ্রাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অবদান অতুলনীয়।যাই হোক, মরহুম শামসুল হুদা স্যার ওপারে অনেক ভাল থাকুক এই কামনায় করি।"



জ্ঞানের দীপ্তিমান এই নক্ষত্রটি ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধার পাত্র , এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়ানো সাদা মনের এই মানুষটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ৷ "

——— তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ———

১. আলহাজ্ব মোঃ জায়েদ আলী স্যার, সাবেক শিক্ষক ( প্রতিষ্ঠাকালীন) -

ইদ্রাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় , মহেশপুর, ঝিনাইদহ

২. জনাব মোঃ জিন্নাত আলী , প্রধান শিক্ষক - শেখারদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

——— কৃতজ্ঞতায় ———

* মিসেস নাসিমা খাতুন ( Ex: ইসলামী বিশ্ববিদ্যিলয়)

সিনিয়র শিক্ষিকা ( ইংরেজি) , ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

* মোঃ মামুনুর রহমান তুহিন ( Ex: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)

প্রিন্সিপাল অফিসার

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, পল্টন শাখা , ঢাকা৷



No comments

Powered by Blogger.