হরিণাকুন্ডুতে টিনের পরিবর্তে পাকা ঘর পেল ৬৩ জন হতদরিদ্র পরিবার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে চলছে নির্বাহী কর্মকর্তাদের সততা লড়ায়ের প্রতিযোগীতা। আশ্রয়ন প্রকল্পের টিনের পরিবর্তে বরাদ্ধকৃত অর্থদিয়ে করে দেওয়া হচ্ছে পাঁকা ঘর। হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর হাতদিয়ে শুরু টিনের পরিবর্তে পাঁকা ঘর নির্মান। তার দেখাদেখি জেলার ৫ উপজেলাও শুরু হয় টিনের পরিবর্তে পাঁকা ঘর নির্মান। প্রত্যেকে সততার সাথে প্রকল্পের সম্পুর্ন অর্থদিয়ে পাঁকা ঘর করে দিচ্ছেন হতদরিদ্রদের। ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপঝেলার বরাদ্ধকৃত ৬৩টি পাঁকা ঘর।
জানা যায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে হতদরিদ্রদের টিন সেডের ঘর নির্মান কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বরাদ্ধ আসে ৬৩ টি ঘরের জন্য ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি ঘরের জন্য আসে এক লাখ টাকা।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, সরকারি ভাবে প্রতিটি ঘরের মাপ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা আর সাড়ে ১০ ফুট আড়। এছাড়া বারান্দা রয়েছে ৫ ফুট। সঙ্গে আছে একটি বাথরুম। ইট দিয়ে পোতা পর্যন্ত করে তার উপর টিনের বেড়া দেওয়ার কথা ছিল। উপরের চালও হবে টিনের। এভাবে ঘরগুলো ওই এক লাখ টাকা ব্যয় করেই নির্মান শেষ করতে হবে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৬৩ টি ঘর করার জন্য সরকারি ভাবে নির্দেশ দেয় এবং বাজেট আসে ৬৩ লক্ষ টাকা। এই নির্দেশ পেয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্বিধায় পড়েন নির্বাহী কর্মকতা। কিভাবে ঘরগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। তারা ভাবতে থাকে ঠিকাদার বা অন্য কারো মাধ্যমে ঘরগুলো তৈরী করলে সব অর্থ ব্যয় করেও ভালো ঘর করা যাবে না আবার এই নি¤œ মানের ঘর নিয়ে জনসাধারনের মনে নানা প্রশ্ন উঠে আসবে। এ সময় নকশা অনুযায়ী টিনের ঘর তৈরী করতে তারা স্থানিয় একটি বাজেট করেন। সেখানে দেখতে পাই সচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার পরও টিনের ঘর তৈরীতে তাদের ব্যয় হবে ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। বরাদ্ধ এক লাখ টাকার মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। তখন তারা ইটের পাঁকা ঘর তৈরী করতে কত খরচ হবে তার একটা পৃথক বাজেট করেন। সেখানে দেখা যায় স্থান ভেদে এক লাখের দুই তিন হাজার টাকা বেশী খরচ হবে। শহর থেকে গ্রুামের দুরুত্বের কারনে খরচ কম বেশী হবে। এই বাজেট করার পর তাৎক্ষনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা ঘরগুলো পাঁকা করবে। হতদরিদ্র টিনের পরিবর্তে পাবে পাঁকা ঘর। যা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু মুল নকশার বাহিরে এই কাজ। তারপরও পাঁকা ঘর নির্মানে জোর দেয় এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন। তারপর শুরু হয়ে যায় তাদের কর্মযজ্ঞ।
কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের আক্কাস মন্ডলের ছেলে আলম মন্ডল বলেন, আমি দিনমজুর। হাজার চেষ্টা করেও পাঁকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। মাত্র ২ শতক জমির উপর বেড়ার ঘরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতাম। এই শীতে বেড়ার ভিতর বাতাশ প্রবেশ করায় ঠিকমতো ঘুমানো যেত ন। আমরা এখন পাঁকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন দেখি।
মান্দারতলা গ্রামের মৃত আনছার শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, মাত্র ৩ শতক জমির উপর মাটির ঘর ছিল। অটো ব্রিকস্ এর ইট দিয়ে পাঁকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। সেই ঘরে তারা ঘুমাচ্ছেন। যা তাদের কাছে ছিল শুধুই কল্পনা।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, টিন দিয়ে তৈরী ঘরের জন্য যে বাজেট তারা পেয়েছিলেন সেই বাজেটেই সেমি পাঁকা ঘর নির্মান করেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ স্যারের পরামর্শে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাসের সহযোগিতায় এবং বরাদ্ধ পাওয়া টাকার সঠিক ব্যবহারের কারনে। বাড়তি কোনো বরাদ্ধ ছাড়াই অটোব্রিকস্ এর ইট দিয়ে ঘর নির্মান করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে এই কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকারভোগিদের ঘর বুঝে দেওয়া হয়েছে। যা পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
ঝিনাইদহে চলছে নির্বাহী কর্মকর্তাদের সততা লড়ায়ের প্রতিযোগীতা। আশ্রয়ন প্রকল্পের টিনের পরিবর্তে বরাদ্ধকৃত অর্থদিয়ে করে দেওয়া হচ্ছে পাঁকা ঘর। হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর হাতদিয়ে শুরু টিনের পরিবর্তে পাঁকা ঘর নির্মান। তার দেখাদেখি জেলার ৫ উপজেলাও শুরু হয় টিনের পরিবর্তে পাঁকা ঘর নির্মান। প্রত্যেকে সততার সাথে প্রকল্পের সম্পুর্ন অর্থদিয়ে পাঁকা ঘর করে দিচ্ছেন হতদরিদ্রদের। ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপঝেলার বরাদ্ধকৃত ৬৩টি পাঁকা ঘর।
জানা যায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে হতদরিদ্রদের টিন সেডের ঘর নির্মান কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বরাদ্ধ আসে ৬৩ টি ঘরের জন্য ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি ঘরের জন্য আসে এক লাখ টাকা।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, সরকারি ভাবে প্রতিটি ঘরের মাপ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা আর সাড়ে ১০ ফুট আড়। এছাড়া বারান্দা রয়েছে ৫ ফুট। সঙ্গে আছে একটি বাথরুম। ইট দিয়ে পোতা পর্যন্ত করে তার উপর টিনের বেড়া দেওয়ার কথা ছিল। উপরের চালও হবে টিনের। এভাবে ঘরগুলো ওই এক লাখ টাকা ব্যয় করেই নির্মান শেষ করতে হবে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৬৩ টি ঘর করার জন্য সরকারি ভাবে নির্দেশ দেয় এবং বাজেট আসে ৬৩ লক্ষ টাকা। এই নির্দেশ পেয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্বিধায় পড়েন নির্বাহী কর্মকতা। কিভাবে ঘরগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। তারা ভাবতে থাকে ঠিকাদার বা অন্য কারো মাধ্যমে ঘরগুলো তৈরী করলে সব অর্থ ব্যয় করেও ভালো ঘর করা যাবে না আবার এই নি¤œ মানের ঘর নিয়ে জনসাধারনের মনে নানা প্রশ্ন উঠে আসবে। এ সময় নকশা অনুযায়ী টিনের ঘর তৈরী করতে তারা স্থানিয় একটি বাজেট করেন। সেখানে দেখতে পাই সচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার পরও টিনের ঘর তৈরীতে তাদের ব্যয় হবে ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। বরাদ্ধ এক লাখ টাকার মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। তখন তারা ইটের পাঁকা ঘর তৈরী করতে কত খরচ হবে তার একটা পৃথক বাজেট করেন। সেখানে দেখা যায় স্থান ভেদে এক লাখের দুই তিন হাজার টাকা বেশী খরচ হবে। শহর থেকে গ্রুামের দুরুত্বের কারনে খরচ কম বেশী হবে। এই বাজেট করার পর তাৎক্ষনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা ঘরগুলো পাঁকা করবে। হতদরিদ্র টিনের পরিবর্তে পাবে পাঁকা ঘর। যা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু মুল নকশার বাহিরে এই কাজ। তারপরও পাঁকা ঘর নির্মানে জোর দেয় এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন। তারপর শুরু হয়ে যায় তাদের কর্মযজ্ঞ।
কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের আক্কাস মন্ডলের ছেলে আলম মন্ডল বলেন, আমি দিনমজুর। হাজার চেষ্টা করেও পাঁকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। মাত্র ২ শতক জমির উপর বেড়ার ঘরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতাম। এই শীতে বেড়ার ভিতর বাতাশ প্রবেশ করায় ঠিকমতো ঘুমানো যেত ন। আমরা এখন পাঁকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন দেখি।
মান্দারতলা গ্রামের মৃত আনছার শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, মাত্র ৩ শতক জমির উপর মাটির ঘর ছিল। অটো ব্রিকস্ এর ইট দিয়ে পাঁকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। সেই ঘরে তারা ঘুমাচ্ছেন। যা তাদের কাছে ছিল শুধুই কল্পনা।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, টিন দিয়ে তৈরী ঘরের জন্য যে বাজেট তারা পেয়েছিলেন সেই বাজেটেই সেমি পাঁকা ঘর নির্মান করেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ স্যারের পরামর্শে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাসের সহযোগিতায় এবং বরাদ্ধ পাওয়া টাকার সঠিক ব্যবহারের কারনে। বাড়তি কোনো বরাদ্ধ ছাড়াই অটোব্রিকস্ এর ইট দিয়ে ঘর নির্মান করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে এই কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকারভোগিদের ঘর বুঝে দেওয়া হয়েছে। যা পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
No comments