ঝিনাইদহ সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে চাই মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুর রশিদ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুর রশিদ। নির্বাচিত হলে তিনি সদর উপজেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে চান। নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদিন সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে নেতাকর্মীদের সাথে গণসংযোগ করে চলেছেন তিনি। সেই সাথে পৌঁছে দিচ্ছেন একাধিকবার নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের উন্নয়নের বার্তা। গ্রাম হবে শহর এ বার্তা পৌছে দিচ্ছেন সাধারণ জণগণের মাঝে। জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে এ্যাড আব্দুর রশীদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এলএলবি পাশ করে বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার সুবিধার্থে ঝিনাইদহ আইনজীবি সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করে একজন দক্ষ আইনজীবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৫০ বছর মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহের উপজেলা ও জেলা শাখাসহ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে সৎ নিষ্ঠার সাথে রাজনীতিবিদ হিসাবে সফল ও সার্থকভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সকল আন্দোলন সংগ্রাম নব্বই এর গণঅভ্যুথ্যান, বিএনপি, জামায়াত জোট বিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামের সময় দলকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই বার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৪ সালে জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষকলীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ থানা আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক, পরবর্তীতে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। এবং ভারতের রানা ঘাটে স্থাপিত ইয়ুথ ক্যাম্পে ট্রেনিংরত যোদ্ধাদের কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি কর্মজীবনে ঝিনাইদহ তথা জাতীয় রাজনিতিতে অবদানের পাশাপাশি নিজ এলাকায় মানুষের কল্যান সাধনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। একমাত্র পুত্র অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রদত্ত বৃত্তি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে ক্যান্সার বিষয়ক গবেষনায় নিয়োজিত। এবং দুই কন্যা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ও অপর কন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।
আব্দুর রশিদ বলেন, এলাকার মানুষের দাবি, আমি যেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করবো। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ উপহার দিবো।
আব্দুর রশিদ বলেন, এলাকার মানুষের দাবি, আমি যেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করবো। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ উপহার দিবো।
No comments