গণধর্ষণের মূল আসামি ঝিনাইদহের রিপন’র গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

চিত্রা নিউজ ডেস্ক:
ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের মামলার মূল আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরের একটি খোলা মাঠ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের গলায় একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা।’ নিহত ব্যক্তির নাম রিপন মিয়া (৪০)। তিনি আশুলিয়ার ইয়োগি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার লাইন চিফ হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইয়োগি লিমিটেড কারখানা থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন এক নারী শ্রমিক। এ সময় পাঁচ বখাটে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কারখানার পেছনে একটি মাঠে গণধর্ষণ করে। পরদিন ৬ জানুয়ারি ওই নারী শ্রমিক মারা যান। একদিন পর ৭ জানুয়ারি নারী শ্রমিকের বাবা রিপনকে প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। আজ শুক্রবার সকালে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আওয়াল দাবি করেন, আমিন মডেল টাউনের একটি মাঠে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরো বলেন, মরদেহের গলায় একটি কাগজে লেখা ছিল ‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা’। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘গণধর্ষণের একদিন পর ওই নারী শ্রমিক মারা যান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূল আসামি রিপন। তাঁকে কারা গুলি করে মেরেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।


No comments

Powered by Blogger.