বাংলাদেশ ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায়
চিত্রা নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের নতুন পাঁচটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেছে জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশন৷ গতসপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বিশ্বের ১২৯টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে গবেষণা করে প্রতিষ্ঠানটি ৫৮টি দেশকে স্বৈরতন্ত্রের অধীন এবং ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছে৷ প্রতিষ্ঠানটির মতে, এবার ‘ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স ২০১৮’ সূচকে নীচে নেমে যাওয়া ১৩টি দেশের মধ্যে ৫টি দেশ আর গণতন্ত্রের নূন্যতম বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে না৷ এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা৷ এই পাঁচটি দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষিত হয়েছে৷ ফলে দেশগুলোতে এখন স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা এই পরিস্থিতি তৈরির একটি কারণ হিসেবেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷
একটি দেশ গণতান্ত্রিক না স্বৈরতান্ত্রিক তা নির্ধারণে জার্মান অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি ৫টি মূল বিষয় বিবেচনা করেছে৷ এগুলো হলো রাজনৈতিক ও সামাজিক সমন্বয়, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রসুলভ বৈশিষ্ট্য৷
প্রসঙ্গত, ১২৯টি দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে৷ একই অবস্থানে আছে রাশিয়া৷ আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান অবশ্য বাংলাদেশেরও নীচে, ৯৮ নম্বরে৷ মিয়ানমার ১০৪ নম্বরে৷ ভারতের অবস্থান বেশ উপরের দিকে, ২৪ নম্বরে৷ আর শ্রীলংকা ৪১ নম্বরে৷ ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে এই ‘ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স’ প্রকাশ করে আসছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং রাজনীতির বিশ্লেষক ড. শান্তনূ মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশন যে স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে এটার প্রবণতা সারাবিশ্বেই দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা ঠিক হবেনা৷ শুধুমাত্র স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কিছু দেশ ছাড়া সারাবিশ্বেই এই স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা বাড়ছে৷” তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটি সংকটের মধ্যে আছে সত্য৷ তবে এবছরই এই সংকট থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়৷ তাই আমার মনে হয় লেভেলিংটা ঠিক নয়৷ এটা শুধু সরকার বা সরকারি দলের একক দায় নয়৷ এই দায় বিরোধী দলের ওপরও বর্তায়৷”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাকস্বাধীনতা বলতে যদি কথা বলার স্বাধীনতা বুঝায় তা বাংলাদেশে আছে বলেই মনে হয়৷ আর সভা-সমাবেশের অধিকার বললে সেখানে বিএনপি কখনো সুযোগ পায় আবার কখনো পায়না৷ প্রতিদিনতো ৩০ জন লোক টকশোতে কথা বলছে৷”
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন এই জরিপের গ্রহণযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এসব জরিপ কিসের মানদণ্ডের ভিত্তিতে করা হয়? যেসব দেশে গণতন্ত্র প্রসারিত হচ্ছে বলে বলা হয়েছে সেই সব দেশ গণতন্ত্রের কোন পর্যায়ে আছে?’’ তিনি বলেন, ‘‘তারা বলে সিরিয়ায় ডেমোক্রেটিক প্রসেস একটু উন্নত হয়েছে৷ সিরিয়ায় কি আদৌ কোনো গণতন্ত্র আছে? সেখানেতা পৈত্রিক সূত্রে আসাদ প্রেসিডেন্ট৷ দেশটিতেতো গণতন্ত্রই নাই৷ তার আবার গণতান্ত্রিক প্রসেসের উন্নতি হয় কিভাবে?”
তিনি বলেন, ‘‘তাদের জরিপে পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাকে বাদ দিয়েছে৷ কারণ সেখানে পরিপক্ক গণতন্ত্র আছে৷ যদি নির্বাচনকে গণতন্ত্রের একমাত্র মানদণ্ড বলে ধরা হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক আছে৷ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেন বর্ণবাদকে প্রশ্রয় দেয়? অন্যদেশে হামলার নির্দেশ দেয়? তাহলে ওই দেশকে আমরা গণতান্ত্রিক বলবো কিভাবে? কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কি আরেকটি রাষ্ট্রে হামলা চালাতে পারে? সুতরাং এখানে বাংলাদেশকে কী বলা হল এটা ইমম্যাট্রিয়াল৷ তাদের এই পুরো জরিপটাই বিভ্রান্তিকর৷ তারা তাদের পছন্দমত এটা করেছে৷”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ যে আদর্শ গণতান্ত্রিক দেশ তা আমি বলবনা৷ এখানে গণতন্ত্রের অনেক সংকট আছে৷ কিন্তু ওনাদের মানদণ্ড কী সেটাই আমার প্রশ্ন৷ এই জরিপের পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে৷”
একটি দেশ গণতান্ত্রিক না স্বৈরতান্ত্রিক তা নির্ধারণে জার্মান অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি ৫টি মূল বিষয় বিবেচনা করেছে৷ এগুলো হলো রাজনৈতিক ও সামাজিক সমন্বয়, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রসুলভ বৈশিষ্ট্য৷
প্রসঙ্গত, ১২৯টি দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে৷ একই অবস্থানে আছে রাশিয়া৷ আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান অবশ্য বাংলাদেশেরও নীচে, ৯৮ নম্বরে৷ মিয়ানমার ১০৪ নম্বরে৷ ভারতের অবস্থান বেশ উপরের দিকে, ২৪ নম্বরে৷ আর শ্রীলংকা ৪১ নম্বরে৷ ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে এই ‘ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স’ প্রকাশ করে আসছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং রাজনীতির বিশ্লেষক ড. শান্তনূ মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশন যে স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে এটার প্রবণতা সারাবিশ্বেই দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা ঠিক হবেনা৷ শুধুমাত্র স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কিছু দেশ ছাড়া সারাবিশ্বেই এই স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা বাড়ছে৷” তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটি সংকটের মধ্যে আছে সত্য৷ তবে এবছরই এই সংকট থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়৷ তাই আমার মনে হয় লেভেলিংটা ঠিক নয়৷ এটা শুধু সরকার বা সরকারি দলের একক দায় নয়৷ এই দায় বিরোধী দলের ওপরও বর্তায়৷”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাকস্বাধীনতা বলতে যদি কথা বলার স্বাধীনতা বুঝায় তা বাংলাদেশে আছে বলেই মনে হয়৷ আর সভা-সমাবেশের অধিকার বললে সেখানে বিএনপি কখনো সুযোগ পায় আবার কখনো পায়না৷ প্রতিদিনতো ৩০ জন লোক টকশোতে কথা বলছে৷”
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন এই জরিপের গ্রহণযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এসব জরিপ কিসের মানদণ্ডের ভিত্তিতে করা হয়? যেসব দেশে গণতন্ত্র প্রসারিত হচ্ছে বলে বলা হয়েছে সেই সব দেশ গণতন্ত্রের কোন পর্যায়ে আছে?’’ তিনি বলেন, ‘‘তারা বলে সিরিয়ায় ডেমোক্রেটিক প্রসেস একটু উন্নত হয়েছে৷ সিরিয়ায় কি আদৌ কোনো গণতন্ত্র আছে? সেখানেতা পৈত্রিক সূত্রে আসাদ প্রেসিডেন্ট৷ দেশটিতেতো গণতন্ত্রই নাই৷ তার আবার গণতান্ত্রিক প্রসেসের উন্নতি হয় কিভাবে?”
তিনি বলেন, ‘‘তাদের জরিপে পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাকে বাদ দিয়েছে৷ কারণ সেখানে পরিপক্ক গণতন্ত্র আছে৷ যদি নির্বাচনকে গণতন্ত্রের একমাত্র মানদণ্ড বলে ধরা হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক আছে৷ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেন বর্ণবাদকে প্রশ্রয় দেয়? অন্যদেশে হামলার নির্দেশ দেয়? তাহলে ওই দেশকে আমরা গণতান্ত্রিক বলবো কিভাবে? কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কি আরেকটি রাষ্ট্রে হামলা চালাতে পারে? সুতরাং এখানে বাংলাদেশকে কী বলা হল এটা ইমম্যাট্রিয়াল৷ তাদের এই পুরো জরিপটাই বিভ্রান্তিকর৷ তারা তাদের পছন্দমত এটা করেছে৷”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ যে আদর্শ গণতান্ত্রিক দেশ তা আমি বলবনা৷ এখানে গণতন্ত্রের অনেক সংকট আছে৷ কিন্তু ওনাদের মানদণ্ড কী সেটাই আমার প্রশ্ন৷ এই জরিপের পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে৷”
No comments