তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত দুই শতাধিক


চিত্রা নিউজ ডেস্ক: টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শনিবার তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের কয়েক দফা সংঘর্ষে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ২০০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
নিহত ইসমাইল মণ্ডল মুন্সিগঞ্জ জেলার মিলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভারতের তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ছিলেন বলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী উপ কমিশনার (এডিসি) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন। আব্দুল্লাহপুর জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদ জানান, তাবলিগ জামাতের ভারতীয় নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা সকাল ৮টার দিকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে বুধবার থেকে ময়দানে অবস্থান নিয়ে থাকা আরেক শীর্ষ নেতা মাওলানা জুবায়ের হাসানের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের প্রধান ফটক ভেঙে ময়দানে প্রবেশ করেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে চলা বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষকালে ইসমাইল ঘটনাস্থলে নিহত হন। এর আগে বিমানবন্দর মোড়ে সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা তাবলিগ জামাতের অপর পক্ষের ওপর হামলা চালালে ব্যস্ত বিমানবন্দর সড়কে মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপক্ষের মধ্যে চলতে থাকা ধাওয়া ও পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে মহাখালী মোড় থেকে উত্তরা পর্যন্ত ভারী যানজটের সৃষ্টি হয়।



মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা শনিবার সকাল ৬টা থেকে জড়ো হতে থাকেন। তারা ইজতেমা ময়দানের সামনে অবস্থান নেন এবং আরেক দল তাদের ময়দানে প্রবেশ করতে বাধা দেন। এরই মধ্যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হজের পর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় আয়োজন তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার গত মৌসুমে সৃষ্ট বিরোধের জেরে আজ দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটলো। 
গত এপ্রিলে তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের মূল কেন্দ্র রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল পক্ষ দুটি।

No comments

Powered by Blogger.