ঝিনাইদহে পিতা-পুত্রের এক সঙ্গে পাশ করলো জেএসডি
স্টাফ রিপোর্টার: পিতা বাবলুর রহমান আর পুত্র মেহেদী হাসান, দু’জনই এক সঙ্গে এবারের জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেএসডি) পরীক্ষায় পাশ করেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে এই পিতা-পুত্র জেএসডি পরীক্ষায় অংশ নেন। সোমবার দুপুরে ফল প্রকাশের পর তারা নিশ্চিত হন উভয় পাশ করেছেন। তারা কালীগঞ্জ উপজেলার খামারমুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।পুত্র মেহেদী হাসান (১৩) জানায়, সে জিপিএ-২.০৬ পেয়েছে, আর তার বাবা বাবলুর রহমান পেয়েছেন ২.৭২। তারা দু’জন একই কক্ষে পরীক্ষা দিলেও ছেলে বাবার চেয়ে ৭ টি বেঞ্চ আগে ছিল। বাবলুর রহমান (২৮) জানান, ২০০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় শেষ পরীক্ষাটা দিতে পারেননি। যে কারনে তার শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পারিবারিক কারনে বন্ধ হয়ে যায় পড়ালেখা। এরপর বিয়ে করে সংসার করছেন। তার এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি কৃষি কার করে সংসার চালান। ক্ষেতে খামারে কাজ করার সময় মনে হয় পড়ালেখার কথা। তাই তিনি ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছেন। এবার তারা পিতা-পুত্র জেএসডি পরীক্ষায় অংশ নেন। তারা দু’জনই পাশ করেছেন। তার ভাষায় শিক্ষার কোনো বয়স নেই। তার আশা কামিল পর্যন্ত পড়ালেখা করবেন। চাকুরি করার ইচ্ছায় নয়, জ্ঞানার্জনের জন্যই পড়ালেখা করছেন বলে জানান বাবলুর রহমান। পুত্র মেহেদী হাসান জানায়, তার বাবা বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই পড়ালেখা করতো। তারা দু’জন বই-খাতা ভাগাভাগি করে পড়ালেখা করেছে। মাঝে মধ্যে বাবা মাদ্রাসায় গেছেন। পরীক্ষায় তার চেয়ে বাবা বেশি নাম্বার পেয়েছে বলে জানায় মেহেদী হাসান।
এ ব্যাপারে গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বাবলুর রহমান যেদিন তার প্রতিষ্ঠানে প্রথম এসে পড়ালেখার কথা বলে সেদিনই তাকে ভর্তি করে নেন। তার ইচ্ছা শক্তি দেখে অনেক ভালো লেগেছে বলে জানান সুপার।
এ ব্যাপারে গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বাবলুর রহমান যেদিন তার প্রতিষ্ঠানে প্রথম এসে পড়ালেখার কথা বলে সেদিনই তাকে ভর্তি করে নেন। তার ইচ্ছা শক্তি দেখে অনেক ভালো লেগেছে বলে জানান সুপার।
No comments