প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গোলাম মাওলা রনি

চিত্রা নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের ওপর শুনানির প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন। সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনের একাদশ তলায় নির্বাচন কমিশনের এই শুনানি শুরু হয়। ৫৪৩টি আপিল আবেদনের মধ্যে ১৬০টি আবেদনের নিষ্পত্তি করার কথা রয়েছে প্রথম দিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী অস্থায়ী এজলাসে বিচারকের আসনে রয়েছেন। সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে নাম লেখানো গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র গত ২ ডিসেম্বর ‘হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার’ কারণ দেখিয়ে বাতিল করে দেন পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া রনির বক্তব্য ছিল, হলফনামায় সই না করাটা ছিল তার ‘সাধারণ ভুল’। এমন ভুলের কারণে অতীতে কখনও কোনো মনোনয়ন বাতিল হয়নি। শুনানি শেষে রনির আইনজীবী বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, রনিকে তার হলফনামায় স্বাক্ষরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল কবির তালুকদারের মনোনয়নপত্রও বৈধতা পেয়েছে। এই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদতাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বগুড়া –৭ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ মিল্টনের মনোনয়নপত্রও একই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে তিনিও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। পদতাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে প্রার্থিতা বাতিল করা ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে ধানের শীষের তমিজ উদ্দিনও আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী আখতারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল খেলাপী ঋণের জামিনদার হিসেবে ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণে। তাকেও প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে ইসি।
তবে বগুড়া-৪ আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র আপিলেও বৈধতা পায়নি। স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বেলা ১২টায় বিরতিতে যাওয়ার আগে দুই ঘণ্টায় মোট ৫০ জনের আপিল শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে ২৩ জনেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.