মিথ্যা ও গায়েবী অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী পক্ষকে পুলিশের হয়রানী সম্পর্কে ঝিনাইদহ-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের বিবৃতিঃ

প্রেস বিজ্ঞপ্তী
ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান পত্রিকায় প্রকাশার্থে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ও বিরোধী দলকে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপিড়ন ও নানাভাবে পুলিশী হয়রানী সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলো বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের সিইসি এক ভাষনে আইন শৃঙ্খলা বাহীনিকে রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেফতার, হয়রানী ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করছেন, তা সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্য করছি, মহেশপুর ও কোর্টচাঁদপুর পুলিশ প্রশাসন সকল নির্দেশনা অমান্য করে রহস্যজনক কারনে নির্বাচন কালিন নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে সম্পুর্ন একতরফা ভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বিরোধী দলকে গ্রেফতার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। বিগত ২ মাসের ব্যবধানে মহেশপুরে ১১টি ও কোর্টচাঁদপুরে ৮টি সর্বমোট ১৯টি মিথ্যা ও হয়রানিমুলক এবং গায়েবী অভিযোগে মামলার আসামী করে হাজার হাজার নিরীহ জনগনকে ঘর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নেয়ার জন্য দিন রাত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যে করনে তারা আজ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মাঠে-জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এসব মামলায় শত শত মানুষকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা হবার পর আর কোন মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানী হবে না। কিন্তু পুলিশের মামলা ও গ্রেফতার তৎপরতার মাধ্যমে, কোন অদৃশ্য পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা কোন পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিরোধী পক্ষকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে মাঠ খালি করে ফাঁকা মাঠে এক তরফা গোল দেয়ার কুমতলব বাস্তবায়ন করতে চায় কিনা তা আজ সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, গত ২৮ শে নভেম্বর আমি ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতিকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করি। ঐ দিন রাতেই আমাকে ও মহেশপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হাই সহ আমার নেতৃবৃন্দের নামে আবারো মিথ্যা, কাল্পনিক ও হাস্যকর অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করেছে মহেশপুরের থানা প্রশাসন। মামলা নং ৪০৯/১৮ । ডিসেম্বরের দুই তারিখে মাহশপুর থানা প্রশাসনআরো একটা মামলা দায়ের করেছে যার নং ৪১১/১৮ইং।আমি এই সকল ঘটনাার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি । আমি এ জাতীয় ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে এবং বিনা কারণে কাউকে যাতে গ্রেফতার ও হয়রানী করা না হয় তার জন্য মহেশপুর ও কোর্টচাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। সত্যিকার অর্থে এ এলাকার পুলিশ প্রশাসন এখন জনগণের জন্য এক মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাড়িয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন সহ নির্বাচনে জড়িত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বৃন্দকে এ এব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একান্ত অনুরোধ করছি। অন্যথায় আসন্ন নির্বাচনটি এক প্রহসন ও হাস্যকর খেলায় পরিনত হবে। আমি এলাকার জনগণকেও এ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট মামলার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.